বিতর্কিত পোস্ট নিয়ে জাকারবার্গের সঙ্গে ফোনালাপ ট্রাম্পের
ফোন কলে ঠিক কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছে দুই পক্ষই– খবর সিএনবিসি’র।
ট্রাম্পের বিতর্কিত দুইটি পোস্টই নিজেদের প্ল্যাটফর্মে রেখেছে ফেইসবুক। বৃহস্পতিবার সিএনবিসিকে জাকারবার্গ বলেন, “আমি মনে করি না সামাজিক মাধ্যমের উচিত সত্যের বিচার করা।” তিনি আরও বলেন, “রাজনীতিবিদরা কী বলছেন তা মানুষের দেখা উচিত।”
“শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন একজন ব্যক্তির কাজের মূল্যায়ন তখনই হওয়া সম্ভব যখন তাদের বক্তব্য নিয়ে প্রাকাশ্যে আলোচনার সুযোগ থাকে।”
মিনেসোটার বিক্ষোভ নিয়ে পোস্ট ফেইসবুকের নীতিমালা লঙ্ঘন করেনি বলেও সিদ্ধান্ত টেনেছেন জাকারবার্গ।
সামাজিক মাধ্যমের সেন্সরশিপ বন্ধ করতে শুক্রবার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটে ফ্যাক্ট-চেক লেবেল জুড়ে দেওয়ার ফলেই ট্রাম্প এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে ব্যপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
অনেক বছর ধরেই ট্রাম্পের বিতর্কিত টুইট প্রসঙ্গে নিরব ভূমিকা পালন করেছে টুইটার। আর দশ জন সাধারণ ব্যবহারকারীর মতো টুইটারের বিধিনিষেধ সেভাবে মেনে না চললেও টুইটার তেমন কিছুই বলেনি তাকে। কিন্তু এ সপ্তাহে এসে বদলে গিয়েছে সব। হুট করে প্ল্যাটফর্মটি ‘ফ্যাক্ট-চেক’ লেবেল সাঁটিয়ে দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের টুইটে।
টুইটারের প্রথম পদক্ষেপের পর চটে যান ট্রাম্প, হুমকি দিয়ে বসেন সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করার ব্যাপারে।
মিনিয়াপোলিসে পুলিশি নিপীড়নে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার ঘটনার প্রতিবাদে মিনেসোটার বৃহত্তম শহরে তুমুল বিক্ষোভ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট নিয়েও বৃহস্পতিবার রাতে ট্রাম্প আরও দু’টি টুইট করেন।
এর একটি টুইটারের ‘সহিংসতাকে উদ্বুদ্ধ’ করা সংক্রান্ত নীতি লঙ্ঘন করেছে জানিয়ে প্ল্যাটফর্মটি ওই টুইটের জায়গায় একটি সতর্কবার্তা জুড়ে দেয়।
বার্তায় বলা হয়, এই টুইটটি ‘সহিংসতাকে উদ্ধুদ্ধ’ করা সংক্রান্ত টুইটারের নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। তবে এই টুইটকে ঘিরে জনসাধারণের আগ্রহ থাকতে পারে বিবেচনায় সেটি দেখার সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরও খবর-
ট্রাম্পের টুইটে ‘ফ্যাক্ট-চেকিং’ ট্যাগ সেঁটে দিল টুইটার
‘সামাজিক মাধ্যম বিষয়ে’ নির্বাহী আদেশের ঘোষণা ট্রাম্পের
স্যোশাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশ সই করবেন ট্রাম্প
স্যোশাল মিডিয়ার আইনি সুরক্ষা প্রত্যাহারের নির্বাহী আদেশে সই ট্রাম্পের
Comments
So empty here ... leave a comment!