ad720-90

ফের জেল? রায় জানতে আদালতে ‘স্যামসাং যুবরাজ’ লি


এর আগে দুর্নীতির দায়ে প্রায় এক বছর বন্দি থেকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মুক্তি পান স্যামসাং উত্তরাধিকারি। প্রায় দুই বছর মুক্ত থাকার পর এখন আবারও তার জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। — খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

গত সপ্তাহেই লি’র বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আবেদন করেছেন রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী।

২০১৫ সালে স্যামসাংয়ের দুইটি সহায়ক প্রতিষ্ঠান একত্রিকরণের মাধ্যমে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। স্যামসাং গ্রুপের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ বাড়াতে লি’র যে পরিকল্পনা ছিলো, ওই একত্রিকরণ তাতে সহায়তা করেছে, এমন অভিযোগের মুখোমুখি লি।

২০১৪ সালে বাবা লি কুন-হি’র হার্ট অ্যাটাকের পর থেকে প্রতিষ্ঠানের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে কার্যত তিনিই স্যামসাং সাম্রাজ্য চালাচ্ছেন। এখন কারাদণ্ডের সম্ভাবনা স্যামসাং, বিশেষ করে সবচেয়ে অর্থকরী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স-এর ওপর কালো ছায়া ফেলছে। এই একটি প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক আয়ই দেশটির জিডিপির শতকরা ১২ ভাগের সমান।

সোমবার সিউলের আদালতে মাস্ক এবং গাঢ় রঙের স্যুটে দেখা গেছে লিকে। প্রতিবেদকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি তিনি।

শুনানি শেষে লিকে বন্দিশালায় রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে মঙ্গলবার সকালে।

সরকারি কৌঁসুলিরা তদন্ত চালানোর সময় লিকে ২০ দিন বন্দি রাখার আদেশ দিতে পারে আদালত। অভিযোগ দাখিলের পর শুরু হবে মামলার বিচারকাজ। বিচার চলাকালীন লিকে ছয় মাস পর্যন্ত বন্দি রাখা হতে পারে বলেও প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স।

এর আগেও ২০১৭ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন হাইকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন লি। সে হিসেবে বলা চলে, লি’র অনুপস্থিতির সঙ্গে আগে থেকেই অভ্যস্ত প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীরা।

ওই কেলেঙ্কারিতে ‘ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও বলপূর্বক নিয়ন্ত্রণ কায়েমের’ অভিযোগে ক্ষমতা হারান দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম নারী রাষ্ট্রপ্রধান হাই।

এইচডিসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট-এর তহবিল ব্যবস্থাপক পার্ক জুং-হুন বলেন, “লি’র অনুপস্থিতিতে স্যামসাং বিপদে পড়বে এমন শঙ্কা কম। কিন্তু স্যামসাং নিয়ে সরকারি উদ্বেগের বিষয়টিই আবার সামনে আসছে এই মামলার মাধ্যমে। ”

“বিনিয়োগকারীরা এই বিতর্কগুলো নিয়ে বিরক্ত,” যোগ করেন জুং-হুন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar