ad720-90

বাজেট ২০২০-২১: ই-মিউটেশনের পর এবার ই-জুডিশিয়ারি


ই-জুডিশিয়ারি বাস্তবায়ন

ভূমিবিষয়ক সরকারি সেবায় ই-মিউটেশন প্রবর্তনের পর এবার বিচার ব্যবস্থায় নতুন অর্থবছরে ই-জুডিশিয়ারি ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার, বাজেট বক্তৃতায় এমনটাই জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী কামাল।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের আদালতগুলোকে আইসিটি নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে ই-জুডিশিয়ারি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি আদালতকে ই-কোর্ট রুমে রূপান্তরিত করা হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

প্রতিটি আদালত এবং বিচারকার্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন দপ্তর যেমন, থানা, হাসপাতাল, কারাগার এবং সম্পৃক্ত ব্যক্তি যেমন তদন্তকারী, সাক্ষী, আইনজীবী, আসামী সকলেই একটি কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্কের যুক্ত থাকবেন, ফলে মামলা ব্যবস্থাপনা আরও দক্ষ হবে। এতে বিচারপ্রার্থী জনগণের সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

ই-জুডিশিয়ারি ব্যবস্থা বাস্তবায়ন হলে বিচারপ্রার্থীরা শীঘ্রই এর সুফল পাভেন বলে ধারণা অর্থমন্ত্রীর।

যা যা বাস্তবায়িত হয়েছে ই-মিউটেশনে

বৃহস্পতিবার সংসদে ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ভূমি সংস্কার বোর্ড, আইসিটি বিভাগ এবং এটুআই প্রকল্পের সহায়তায় নামজারির প্রচলিত পদ্ধতির পরিবর্তে ই-নামজারি পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

ভূমি মন্ত্রণালয় গত ১ জুলাই ২০১৯ হতে তিনটি পার্বত্য জেলা বাদে সারাদেশে একযোগে শতভাগ ই-নামজারি বাস্তবায়ন শুরু করেছে। বর্তমানে ৮৮৫টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিসে এবং ৩৬১৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি বাস্তবায়িত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।

আগের প্রচলন অনুযায়ী, জনগণকে ভূমি অফিসে গিয়ে মিউটেশন করতে হতো, যাতে বারবার ভূমি অফিসে যাতায়াতে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় হতো।

মন্ত্রী জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্লোগান “হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা” এর ধারবাহিকতায় বর্তমানে ই-নামজারি পদ্ধতিতে ৪৫ কার্যদিবসের পরিবর্তে ২৮ কার্যদিবসের মধ্যে ঘরে বসেই মিউটেশন সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar