ad720-90

শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট অপরিহার্য: মোস্তাফা জব্বার


ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ডিজিটাল ডিভাইস ও ইন্টারনেট ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অপরিহার্য। ইন্টারনেট খরচ নয়, এটা শিক্ষার্থীদের জন্য বিনিয়োগ। তিনি ডিজিটাল অবকাঠামোর বিদ্যমান সুযোগ কাজে লাগিয়ে মেধাভিত্তিক উদ্যোক্তা উন্নয়নের সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তরুণ শিক্ষার্থীদের নিজেদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানান।

মন্ত্রী গতকাল শনিবার রাতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস আয়োজিত ‘স্টার্টআপ অপরচুনিটিস ইন আইসিটি অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী বলেন, অতীতের তিনটি শিল্প বিপ্লবে পিছিয়ে থাকা কৃষিভিত্তিক একটা দেশকে ডিজিটাল করাটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রযুক্তিতে শত শত বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় উপনীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত এগারো বছরের বাংলাদেশ বিশ্বের দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশ হিসেবে গৌরব অর্জন করেছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার জন্মভূমি কেনিয়া বাসীকে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশকে অনুসরণের জন্য রোল মডেল হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।’

মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সেবায় বাংলাদেশকে পৃথিবীর দ্বিতীয়তম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জনগণের জন্য অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সেবা ডিজিটাল করা হয়েছে। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল রূপান্তরের কথা বলেছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের কথা বলেছে ২০১৬ সালে। ইংল্যান্ড আমাদের এক বছর পর, ভারত ২০১৪ সালে, মালদ্বীপ ২০১৫ সালে তাদের দেশকে ডিজিটাল ঘোষণা করেছে এবং পাকিস্তান ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ডিজিটাল পাকিস্তান ঘোষণা করেছে।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনায় পৃথিবীতে যে পরিবর্তন এসেছে এরপর বিশ্ব আগের জায়গায় ফিরে যাবে না। আমাদের সম্ভাবনাময় প্রতিভাকে কাজে লাগাতে হবে ডিজিটাল প্রযুক্তির বিকাশে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের দিক থেকে বাংলাদেশ খুবই সুবিধাজনক অবস্থানে আছে এবং ২০৩১ সাল পর্যন্ত মোট জনসংখ্যার শতকরা ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠী আমাদের বড় শক্তি। এই সুযোগ আমাদের কাজে লাগাতেই হবে। উন্নত দেশগুলোর সবচেয়ে বড় সংকটের নাম মানব সম্পদ। তাদের শতকরা ৬৫ ভাগ বৃদ্ধ জনগোষ্ঠী। এই সুযোগটা আমাদের কোনো অবস্থাতেই হাত ছাড়া করা যাবে না।’

অনুষ্ঠানে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নারী উদ্যোক্তা রুবাবা দৌলা।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar