ad720-90

ভিআর প্রতিষ্ঠান স্পেসেস-কে কিনে নিলো অ্যাপল


অজ্ঞাতনামা এক অ্যাপল মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ খবর নিশ্চিত করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদদাতা সাইট প্রটোকল। আরেক প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ দাতা এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন বলছে, বরাবরের মতো এবারও অ্যাপল মুখপাত্র খবর নিশ্চিত করেছেন এবং আর কোনো বিস্তারিত যোগ করার মতো নেই বলে জানিয়েছেন।

স্পেসেস নিজেদের যাত্রা শুরু করেছিল স্বাধীনভাবে কৃত্রিম বাস্তবতায় ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা দিয়ে। চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশন থেকে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির। প্রথম প্রকল্পে টারমিনেটর থিমের ভিআর গেইম খেলার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল স্পেসেস।

নিজেদের ভিআর গেইমে ‘ফেইস ট্র্যাকিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাজার প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় স্পেসেস আরও বেশি আকর্ষণীয় করে তুলেছিল ভিআর গেইমকে। প্রতিষ্ঠানটির দেওয়া অভিজ্ঞতায় ভিআর গেইম খেলার আগে দেয়ালে থাকা ক্যামেরার মাধ্যমে গেইমারের চেহারা স্ক্যান করে নেওয়া হতো, তারপর সে ডেটার আলোকে তৈরি করে দেওয়া হতো গেইমের ভেতরের অ্যাভাটারটি।

পুরোপুরি নিখুঁত না হলেও ভিআর গেইমে নতুন মাত্রা যোগ করতে পেরেছিল স্পেসেস।

কোভিড-১৯ বাস্তবতায় নিজেদের বাস্তব দুনিয়ার ব্যবসায়ে ইতি টানতে বাধ্য হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি, কিন্তু নিজেদের কাজ থামায়নি। ‘ফেইস-স্ক্যানিং’ প্রযুক্তি সম্পন্ন একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলে তার মাধ্যমে চেহারা স্ক্যান করা এবং তা ভার্চুয়াল অ্যাভাটারের উপর বসানোর ব্যবস্থা করেছিল তারা। চাইলে ব্যবহারকারীরা যাতে ওই ভিআর সেটআপ জুমের সঙ্গে সংযুক্ত করে নিতে পারে এবং নিজেদের কার্টুন সংস্করণ সামনে নিয়ে আসতে পারে, সে ব্যবস্থাও করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।

ফেইস ট্র্যাকিং ও কার্টুন অ্যাভাটারে আগে থেকেই অ্যাপল আগ্রহী। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ মার্কিন টেক জায়ান্টের ‘মিমোজি’ ফিচার।

হতে পারে নিজেদের ভিআর/এআর প্রচেষ্টায় স্পেসেসের প্রযুক্তি জুড়ে দিতে এবং ফেইস টাইমে ভার্চুয়াল ক্যারেক্টার নিয়ে আসার লক্ষ্যেই স্পেসেস কিনেছে অ্যাপল।    





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar