কোয়ারেন্টিনে সামাজিক মাধ্যম ‘পর্যবেক্ষণে’ ফিলিপিনো পুলিশ
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপকে ‘স্বৈরাচারী’ এবং ‘দ্বৈত নীতি’ বলেছেন সমালোচকরা।
ফিলিপিন্সে কোয়ারেন্টিন প্রোটোকল প্রয়োগে গঠিত টাস্ক ফোর্সের প্রধান ন্যাশনাল পুলিশের লেফটেন্যান্ট জেনারেল গুইলেরমো ইলেজার সতর্ক করেছেন যে, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অমান্য করলে জরিমানা এবং সমাজ সেবার শাস্তি পেতে হবে। আর মদ্যপানের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে পোহাতে হবে বাড়তি সাজা।
রয়টার্সকে ইলেজার বলেন, “সামাজিক মাধ্যমে জনগণের পোস্টকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করতে পারে পুলিশ এবং এটি পুলিশের নজরদারি কার্যক্রমেরও উর্ধে থাকবে।”
ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯ অগাস্ট দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউনের ইতি টেনেছে ফিলিপিন্সের ম্যানিলা। তবে, বাড়ির বাইরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি এক মিটার দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। শিশু, বয়স্ক এবং গর্ভবতী নারীদেরকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা।
শনিবার সামাজিক মাধ্যমে নজরদারির পরিকল্পনা জানিয়েছে ফিলিপিন্স। এরপরই এই পরিকল্পনার সমালোচনা শুরু করেছে বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী ও নাগরিক অধিকার সমর্থকরা।
টুইটারে বামপন্থী সংগঠন বায়ানের মহাসচিব রেনাটো রিয়েস বলেন, পুলিশ সংস্থা “মহামারীকে ব্যবহার করে আমাদেরকে একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, যেখানে সব পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ নজরদারি করবে।”
এই পরিকল্পনাকে ‘দ্বৈত নীতি’ হিসেবেও দাবি করেছেন সমালোচকরা। জনসমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও এটি অমান্য করে মে মাসে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া পুলিশ প্রধানের একটি পোস্ট নিয়ে এই মন্তব্য করেছেন তারা।
ন্যাশনাল ক্যাপিটাল রিজিওন পুলিশের প্রধান ডেবোল্ড সাইনাসের ওই পোস্টের ছবিতে দেখা গেছে কয়েক ডজন ব্যক্তির সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদযাপন করছেন তিনি। মাস্ক পরা ছাড়াই কাছাকাছি বসেছিলেন তারা। অ্যালকোহলে নিষেদ্ধাজ্ঞা থাকলেও টেবিলে ছিলো বিয়ারের ক্যান।
ইলেজার অবশ্য বলেছেন, সাইনাসের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই প্রশাসনিক মামলা হয়েছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!