ad720-90

শ্মিড: মৌলিক গবেষণায় ‘খেই হারিয়েছে’ যুক্তরাষ্ট্র


চীনের এগিয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণও এটি – মনে করছেন শ্মিড। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবন বোর্ডের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। শ্মিডের দাবি, এখনও চীনের সঙ্গে দৌড়ে যুক্তরাষ্ট্রে এগিয়ে রয়েছে, তবে খুব দ্রুত এই ব্যবধান কমছে।

“চীন নতুন উদ্ভাবন এবং নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যাপারে মনোযোগ দিচ্ছে। গবেষণা প্রকাশের দৌড়ে চীন কিন্তু আমাদের ধরে ফেলেছে।” – বলেছেন শ্মিড।

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের তথ্য বলছে, বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের শীর্ষ গবেষণা প্রকাশক এখন আর যুক্তরাষ্ট্র নয়, চীন। ২০১৮ সালেই যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে পয়লা স্থান নিয়েছে দেশটি।

এ বিষয়টিই প্রমাণ করে যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় চীন গবেষণা ও উন্নয়নে কতোটা মনোযোগী – মন্তব্য উঠে এসেছে বিবিসির প্রতিবেদনে।

শুধু চীনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়েই গবেষণা ও উন্নয়নে দুই হাজার কোটি ডলার খরচ করেছে, এই খাতে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বাজেট এটি। এই গবেষণা ও উন্নয়নে চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ৫জির মতো প্রধান প্রধান প্রযুক্তি খাতে এগিয়ে দিয়েছে।

সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে। প্রকাশ্যে চীনের বিরুদ্ধে কথা বলছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক, উইচ্যাট নিষিদ্ধ করতে নির্বাহী আদেশেও স্বাক্ষর করেছেন তিনি।

এ সপ্তাহেই এক হাজার চীনা শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের দাবি, ওই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে চীনের সামরিক বাহিনীর যোগসাজশ রয়েছে।

শ্মিড বলছেন, “এ ধরনের উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন অভিবাসন আমেরিকার প্রতিযোগিতা, বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা, নতুন প্রতিষ্ঠান তৈরি ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

শ্মিডের ভাষ্যে, যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্কের সঠিক কৌশল হবে “প্রতিদ্বন্দ্বীমূলক অংশীদারিত্ব”, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রকে “চীনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে, আবার একই সময়ে তাদের সঙ্গে প্রতিযোগিতাও করতে হবে।”

“যখন আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী, তখন আমরা রুক্ষ হবো। আমরা যখন কঠোরভাবে প্রতিযোগিতা করছি, তখন আমরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবো – আসল প্রতিযোগিতা – যেটিতে যুক্তরাষ্ট্রও ভালো করতে পারবে, চীনও ভালো করতে পারবে। যেখানে আমাদের অংশীদারিত্বে যাওয়ার মতো অসংখ্য খাতও খোলা থাকবে।” – বলেছেন শ্মিড।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar