ad720-90

মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এড়াতে শেষ মুহূর্তে আদালতে টিকটক


শুক্রবার শেষ ভাগে ওয়াশিংটন ফেডারেল আদালতে নিজ অনুরোধের নথি দাখিল করেছে সামাজিক ভিডিও অ্যাপ টিকটক এবং এর মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স।

রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, রাজনৈতিক কারণে টিকটক নিষিদ্ধ হচ্ছে বলে নথিতে অভিযোগ করেছে বাইটড্যান্স।

টিকটক জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রতিষ্ঠানটির মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে দেওয়া অধিকার ক্ষুন্ন হচ্ছে। উল্লেখ্য, মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী বা ‘ফার্স্ট অ্যামেন্ডমেন্ট’ বাক স্বাধীনতা ‍নিশ্চিত করেছে।

বর্তমানে খুব একটা ভালো সম্পর্কে নেই বেইজিং ও ওয়াশিংটন। টিকটক, হুয়াওয়ে এবং উইচ্যাটকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে দেশ দুটির। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ট্রাম্প প্রশাসন চেষ্টা করেছে নিরাপত্তা উদ্বেগের প্রশ্নে হুয়াওয়ের মতো চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এবং টিকটক ও উইচ্যাটের মতো চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে।

অভিযোগে টিকটক ও এর মালিক প্রতিষ্ঠান বাইটড্যান্স আশা প্রকাশ করেছে, ঘোষিত রায়ে “৬ অগাস্ট তারিখের নির্দেশনা ও নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রাথমিক ও স্থায়ী ব্যাপারগুলোকে অবৈধ” ঘোষণা করবে আদালত।

হোয়াইট হাউস এ ব্যাপারে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের দশ কোটি ব্যবহারকারী রয়েছে।  প্রতিষ্ঠানটির ভাষ্যে, “নিষেধাজ্ঞার কারণে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসার অপূরণীয় ক্ষতি হবে”।

এর আগে অগাস্টের শেষ ভাগে ‘ফেডারেল ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট ফর সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অফ ক্যালিফোর্নিয়ায়’ মার্কিন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল টিকটক। ওই অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছিল, ‘জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা’ ব্যবহার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করায় যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা।

ওই সময়েই আইনি প্রতিষ্ঠান ‘অ্যালসটন অ্যান্ড বার্ড’-এর অংশীদার জেসন এম. ওয়েটে মন্তব্য করেছিলেন, আদালত সম্ভবত প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে আগ্রহী হবে না, বিশেষ করে যেখানে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কারণ হিসেবে এসেছে। কিন্তু আদালত যদি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায় দিয়েই ফেলে, তাহলে তা রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নতুন করে নির্ধারণ করতে পারে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar