ad720-90

শেয়ারধারীদের মামলার মুখে পড়তেই হচ্ছে অ্যাপলকে


প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার এক সিদ্ধান্তে মার্কিন জেলা বিচারক ইওভন গঞ্জালেজ রজার্স বলেছেন, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর কুকের ওই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মামলা করতে পারেন যুক্তরাজ্যের অবসর ভাতা তহবিল নেতৃত্বাধীন শেয়ারধারীরা।

সেসময় বিশ্লেষকরা ধারণা দিয়েছেন, বর্ধনশীল কিছু বাজারে বিক্রি নিয়ে চাপের মধ্যে পড়েছে অ্যাপল, “আমি চীনকে ওই শ্রেণিতে ফেলবো না।”

কুকের মন্তব্যের কিছু দিন পর সরবরাহকারীদেরকে উৎপাদন কমানোর নির্দেশ দিয়েছে অ্যাপল। আর ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রান্তিক আয়ের অনুমান নয়শ’ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত কমিয়েছে অ্যাপল। এ জন্য চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যিক দ্বন্দ্বের কারণে চীনা অর্থনীতির ওপর চাপকে দোষারোপ করেছেন কুক।

২০০৭ সালে প্রথম আইফোন উন্মোচনের পর থেকে সেবারই সবচেয়ে কম আয়ের লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিলো অ্যাপল। পরের দিনই অ্যাপলের শেয়ার মূল্য কমেছে ১০ শতাংশ। এতে প্রতিষ্ঠানের বাজার মূল্য কমেছে সাত হাজার চারশ’ কোটি মার্কিন ডলার।

ওই মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ারধারীদের সঙ্গে জালিয়াতি হয়েছে বা জালিয়াতির চেষ্টা ছিল এমন কোনো প্রমাণ নেই বলে দাবি করেছে অ্যাপল এবং কুক।

বৃহস্পতিবার তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি আইফোন নির্মাতা মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।

২৩ পাতার সিদ্ধান্তে রজার্স জানিয়েছেন, চীন নিয়ে বিশ্লেষকের ডাকের প্রেক্ষিতে কুকের বিবৃতিকে বস্তুগতভাবে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে অভিযোগ করেছেন শেয়ারধারীরা।

রজার্স আরও বলেছেন, চীনে অ্যাপল যে “সমস্যাগুলোর লক্ষণ” দেখা শুরু করেছিলো কুক সম্ভবত সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত জানতেন না। এতে বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে যে, তিনি হয়তো বাণিজ্যিক দ্বন্দ্ব এবং অ্যাপলের ওপর এর প্রভাব নিয়ে অন্ধকারে ছিলেন।

বিশ্লেষকের ধারণা নিয়ে আলোচনা করার সময় কুক ঝুঁকির বিষয়টি জানতেন বলে “জোরালো দাবি” তুলেছেন বাদী পক্ষ– যোগ করেন রজার্স।

অ্যাপলের বিরুদ্ধে এই মামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের নরউইচের নরফক পেনশন ফান্ডের পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নরফক কাউন্টি কাউন্সিল।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar