ad720-90

স্যার টিমের ইনরাপ্টে নাম লেখালো বিবিসি, এনএইচএস


ইনরাপ্ট যাত্রা শুরু করেছিল ২০১৮ সালে। টিম বার্নার্স লি’র সঙ্গে এর প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে আছেন জন ব্রুস। প্রতিষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য মানুষের হাতে ডেটার নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দেওয়া, ডেটা কোথায় সংরক্ষিত হচ্ছে, এবং সেটিতে কে প্রবেশাধিকার পাচ্ছে তা ঠিক করে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া।

সোমবার নিজেদের সলিড প্ল্যাটফর্মের ব্যবসায়িক সংস্করণ নিয়ে এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত এটি গোপনতা নির্ভর প্ল্যাটফর্ম। এটি তৈরিতে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।

সলিডের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ব্যক্তিগত অনলাইন ডেটা স্টোর বা পডস তৈরির সুযোগ পাবেন। পরে তা তৃতীয় কোনো অ্যাপের সঙ্গে চাইলে শেয়ার করতে পারবেন।

এ প্রসঙ্গে জন ব্রুস এক ব্লগে লিখেছেন, উদাহরণ হিসেবে এনইচএস’কে ধরা যায়। তারা প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করছে রোগীদেরকে ব্যক্তিগত মেডিক্যাল ডেটা পডসে রাখার সুযোগ করে দিতে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ব্রুস।

অন্যদিকে, ইনরাপ্টের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা বার্নার্স-লি বলছেন, “এটি যুগান্তকারী নতুন সুযোগ নিয়ে আসবে যা শুধু ডেটায় বিশ্বাস ফিরিয়ে আনবে না, আমাদের জীবনকেও উন্নত করবে।”

বার্নার্স-লি ১৯৮৯ সালে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উদ্ভাবন করেন। কিন্তু তিনি সাম্প্রতিক সময়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো গোটা বিশ্বে নাগরিকদের সুযোগ নিচ্ছে। “আমরা যা ভালো অর্জন করেছি তার হিসেবে, ওয়েব এমন একটি ইঞ্জনে পরিণত হয়েছে যাতে বৈষম্য ও বিভক্তি বাড়ছে; নিজ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এর কলকাঠি নাড়ছে ক্ষমতাধর শক্তিগুলো “ – ২০১৮ সালে লিখেছিলেন তিনি।

ওয়েবের জনক আরও লিখেছিলেন, “আজ আমি মনে করি আমরা সংকটপূর্ণ একটি মাত্রায় এসে পৌঁছে গিয়েছি, ভালোর জন্য পরিবর্তিত হওয়া সম্ভব – এবং জরুরি।”

বার্নার্স-লি জানিয়েছেন, সলিডের বদৌলতে বর্তমাওেন বিদ্যমান মডেলটি পরিবর্তিত হয়ে যাবে, যেখানে ব্যবহারকারীদেরকে ব্যক্তিগত ডেটা ডিজিটাল জায়ান্টদের হাতে অনুভূত মানের বিনিময়ে তুলে দিতে হয়। 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar