সামাজিক মাধ্যমে ক্ষতিকর কনটেন্ট: বিশাল জরিমানায় লক্ষ্য যুক্তরাজ্যের
অনলাইনে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার দেশটি দাবি করেছে, শিশুদেরকে নীপিড়ন, নিপীড়নের উদ্দেশ্যে পটানোর মতো ঘটনা এবং পর্নোগ্রাফি থেকে রক্ষা করতে প্রযুক্তি প্ল্যাটফর্মগুলোকে “আরও অনেক কিছুই” করতে হবে।
যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন বলেছেন, “শিশু এবং ঝুঁকিতে থাকা গ্রাহকদেরকে রক্ষার জন্য আমরা প্রযুক্তির ওপর দ্বায়বদ্ধতার নতুন এক যুগে প্রবেশ করছি, যাতে এই খাতে আস্থা পুনরুদ্ধার করা যায় এবং উন্মুক্ত বক্তব্যে আইনি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।”- প্রতিবেদনে বলেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সামাজিক মাধ্যমে অবৈধ এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট আরও ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে বিশ্বজুড়েই লড়াই করছে বিভিন্ন দেশের সরকার। মঙ্গলবার নিজস্ব নীতিমালা প্রকাশ করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও।
আগামী বছর আইনের মাধ্যমে নতুন নীতিমালা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাজ্যের। আইন অমান্য করলে সাইট ব্লক করার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানে জেষ্ঠ্য ব্যবস্থাপকদেরকে সংশ্লিষ্ট কনটেন্টের জন্য দায়ী করতে পারে দেশটির সরকার।
ডাউডেন বলেছেন, এই কর্মকাঠামো বড় ডিজিটাল প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‘কঠোর নীতিমালা’ অনুসরণ করার পথে নিয়ে আসবে।
ফেব্রুয়ারিতে ফেইসবুক এবং গুগল জানিয়েছে নীতিমালা নিয়ে তারা সরকারের সঙ্গে কাজ করবে। উভয় প্রতিষ্ঠানই দাবি করেছে, নিরাপত্তার বিষয়গুলো তারা খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেয় এবং এই সমস্যাগুলো সমাধানে ইতোমধ্যেই নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছে।
যুক্তরাজ্যে প্রস্তাবিত নতুন আইন বাস্তবায়নের পর সামাজিক মাধ্যমগুলো আইন অমান্য করলে প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি ৮০ লাখ ইউরো বা বৈশ্বিক আয়ের ১০ শতাংশ জরিমানা করা হবে। এক্ষেত্রে জরিমানার যে অঙ্কটি বড় হবে সেটিই প্রযোজ্য হবে। জরিমানা বিষয়গুলো তদারকির দায়িত্বে থাকবে গণমাধ্যম বিষয়ে ব্রিটিশ নীতিনির্ধারক প্রতিষ্ঠান অফকম।
Comments
So empty here ... leave a comment!