ad720-90

মৃত লোক শিল্পীর স্বর ফিরিয়ে আনলো দক্ষিণ কোরিয়ান এআই


ভক্তরা শুক্রবার শিল্পীর কণ্ঠস্বরে শুনতে পাবেন নতুন এক গানের কভার। এর পুরোটাই সম্ভব হয়েছে ‘সিঙিং ভয়েস সিনথেসিস’ (এসভিভি) নামের এক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রক্রিয়ার কারণে।

রয়টার্স উল্লেখ করেছে, প্রক্রিয়াটি প্রশিক্ষণ টুলের ভিত্তিতে কিমের ২০টি গান শিখেছিল। পরে আরও সাতশ’ কোরিয়ান গান শুনে তা উন্নত করেছে। এটি করা হয়েছে যাতে কিমের গলার স্বর অনুকরণ করে তার ধাঁচেই গান গাইতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাটি।

প্রকল্পটির পেছনে কাজ করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সুপারটোন। শুক্রবার ‘সাউথ কোরিয়ান ব্রডকাস্টার’ এসবিএস –এ একটি অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে প্রচারিত হবে এআইয়ের ওই কভার গান।

অনুষ্ঠানটির এক প্রযোজক কিম মিন-জি বলেন, “আমরা যে বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তা করেছি এবং উদ্বিগ্নও ছিলাম, তা হলো কিম পরিবারের সম্মতি।”

“কিন্তু যখন আমরা তার পরিবারকে এআই অডিও শুনায়েছি, তখন তারা খুব খুশি হয়েছে। প্রথমে তারাও ব্যাপারটি নিয়ে সতর্ক ছিলেন, কিন্তু অডিওটি শোনার পর তাদের কাছে মনে হয়েছে যে কিম কোয়াং-সিওক ফিরে এসেছেন।” – যোগ করেন প্রযোজক মিন-জি। 

অনুষ্ঠানটির প্রধান প্রযোজক ন্যাম সাঙ-মুন জানান, নির্ভুল শোনানোর জন্য এটি জরুরি ছিল যে স্বরে এবং গান গাওয়ার সময় অনুভূতি যথেষ্ট থাকে।

“এটি ছিল অনুভূতি নিয়ে একটি গান গাওয়ার ব্যাপার। এবং প্রতিটি নোটকে স্বাভাবিকভাবে সংযুক্ত রাখা, যাতে অনুভূতি প্রকাশ পায়। ডেভেলপাররা এআইকে সুনির্দিষ্টভাবে মানুষের কণ্ঠস্বর অনুকরণ করতে শিখিয়েছেন।” – বলেছেন সাঙ মুন।

প্রযোজকরা মনে করছেন, কপিরাইট ও অন্যান্য নৈতিকতা প্রশ্নে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত। তবে, শঙ্কার কারণে পুরো খাতটির পথরোধ করা ঠিক হবে না।

সিওলের এক বাসিন্দা অবশ্য ব্যাপারটিকে এভাবে দেখছেন না। ২৯ বছর বয়সী ইম উক-জিন বলেন, “আমরা সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হলো এআইয়ের মানুষের মতো আচরণ করা। এখানে আসল কিছু দক্ষতা এবং অভ্যাস রয়েছে যা শুধু মানুষের থাকতে পারে। যদি এআই সেগুলো অনুকরণ করে, তাহলে বিশ্বে এআই আধিপত্য বিস্তার করবে, ভবিষ্যতে মানুষ নয়, আমি উদ্বিগ্ন।” 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar