ad720-90

টেসলায় মাস্কের নতুন পদবী ‘টেকনোকিং অফ টেসলা’


শুধু নিজের নয়, প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা জ্যাক কার্কহর্নের পদবীও বদলে গেছে। এখন থেকে কার্কহর্ন পরিচিত হবেন ‘মাস্টার অফ কয়েন’ হিসেবে।

গোটা ব্যাপারটি যে ঠাট্টা করে করা হয়েছে, তা নয়। পুরোপুরি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় এফসিসি’র কাছে নথি পাঠিয়ে ইলন মাস্ক ও জ্যাক কার্কহনের পদবী বদলের ব্যাপারটি পাকাপোক্ত করেছে টেসলা। অন্তত তা-ই বলছে রয়টার্সের প্রতিবেদন।

অন্যদিকে, বিবিসি’র এক প্রতিবেদন বলছে, মাস্ক বা কার্কহর্ন কেউই নতুন পদবীর ব্যাপারে বাড়তি কোনো ব্যাখ্যা দেননি।

চলতি বছরে টেসলা দেড়শ’ কোটি ডলার মূল্যমানের বিটকয়েন কিনেছে। মাস্ক ও কার্কহর্নের পদবী পরিবর্তনের সঙ্গে সেটির কোনো সম্পর্ক থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছে বিবিসি। 

নতুন পদবী নেওয়ার মাত্র একদিন আগেই ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক টেসলা বিনিয়োগকারী। মামলাটির বাদী চেস গ্যারিটি বলছেন, মাস্ক ‘খেয়ালী’ এবং ‘অনৈতিক’ টুইটের কারণে বিনিয়োগকারীরা শত শত কোটি ডলার হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। 

গত মে মাসে ইলন মাস্ক এক টুইটে জানান, টেসলার শেয়ার মূল্য অনেক বেশি। এর পরপরই টেসলার বাজার মূল্য থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছিল এক হাজার তিনশ’ কোটি ডলার।

এবারই প্রথম নয়, এর আগেও টুইট নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন মাস্ক। ২০১৮ সালের অগাস্টে করা এক টুইটে জানিয়েছিলেন, টেসলাকে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের রূপ দিতে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করেছেন তিনি। বাস্তবে ওই পরিমাণ অর্থের ধারেকাছেও সংগ্রহ করেতে পারেননি।

পরে মাস্ক এবং টেসলা দুই কোটি ডলার করে জরিমানা দেয়, এবং টেসলা আইনজীবিরা মাস্কের টুইট আগেভাগে দেখে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হন। পরে সমঝোতাটি সংশোধন করে ঠিক করে দেওয়া হয় -ঠিক কখন কখন টুইটের জন্য পূর্ব-অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে।

উল্রেখ্য, সম্প্রতি টেসলা শেয়ার দর কিছুটা কমে যাওয়ায় বিশ্বের শীর্ষ ধনীর খেতাব হারিয়েছেন মাস্ক।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar