শুনানিতেই ডরসির টুইট, টিপ্পনি কাটলেন কংগ্রেস সদস্য
বৃহস্পতিবার পাঁচ ঘণ্টার দীর্ঘ ওই শুনানিতে তিন সিইওকে ‘গ্রিল’ করা হয়েছে বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে। কথ্য বাংলায় সম্ভবত একে বলা চলে “মোরব্বা বানানো”!
কংগ্রেসপার্সনদের জেরার ধরনে সম্ভবত সবচেয়ে বিরক্তিকর বিষয় ছিল প্রশ্নের জবাব “হ্যাঁ” বা “না” আকার চাওয়ার বিষয়টি।
ওই শুনানিতেই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন ছিল, ৬ জানুয়ারিতে মার্কিন ক্যাপিটলের হামলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর কোনো দায় আছে কি না।
প্রশ্নের জবাবে ডরসি “হ্যাঁ” সূচক জবাব দিলেও তিনি যোগ করেন যে, বৃহত্তর পরিবেশ পরিস্থিতিও এখানে বিবেচনায় নিতে হবে। গুগলের মূল প্রতিষ্ঠান অ্যালফাবেটের সিইও সুন্দার পিচাই জবাবে বলেন, তিনি সবসময়ই মনে করেছেন যে সমাজিক মাধ্যমগুলোর কিছুটা হলেও দায় আছে তবে প্রশ্নটি কেবল হ্যাঁ বা না সূচক জবাব দেওয়ার শর্তে বেশ জটিল।
ফেইসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গ বলেন যে, তার প্রতিষ্ঠান একটি কার্যকর সিস্টেম তৈরির জন্য দায়বদ্ধ এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং হামলাকারীদের বরং দায়ী করা উচিত।
ডেমোক্রেট এবং রিপাবলিকান দুই দলের সদস্যরাই অনেকটা সাঁড়াশি দিয়েই ধরার চেষ্টা করেছেন যখন তিন সিইও ব্যাখ্যামূলক জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। তারা বারবার তিন সিইওকে জবাবের মাঝপথেই থামিয়ে দিয়ে বলেছেন কেবল “হ্যাঁ” বা “না” সূচক জবাব দিতে।
জানুয়ারির ৬ তারিখের হামলায় টুইটারের দায় আছে কি না সেই প্রশ্নে জবাব যখন চাওয়া হয় তখনই টুইটার সিইও একটা প্রশ্নেবোধক চিহ্ন টুইট করেন আর সঙ্গে জুড়ে দেন একটি পাঠক জরিপ।
এক পর্যায়ে ডেমোক্রেট দলের প্রতিনিধি ক্যাথলিন রাইস ডরসিকে জিজ্ঞেস করেন: “মি। ডর্সি, আপনার টুইটার অ্যাকাউন্ট জরিপে কি জিতছে, হ্যাঁ না কি না? “
ডর্সি তাকে জবাবে বলেন, “হ্যাঁ” জিতছে। এর জবাবে ক্যাথলিন রাইস টিপ্পনি কাটেন, “আপনার মাল্টি টাস্কিং দক্ষতা বেশ চিত্তাকর্ষক”।
শুনানি শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ডরসিও অধিবেশনটির বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনা করা টুইটগুলি পছন্দ করেছেন, যাতে কংগ্রেসের সদস্যরা কেন পিচাইয়ের নাম ভুলভাবে প্রচার করছেন। শুনানি চলাকালে তিনি যে খালি পায়ে ছিলেন তা নিশ্চিত করে একটি টুইটের জবাবও দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তার জরিপে ৭১ হাজারেরও বেশি ভোট পড়ে।
Comments
So empty here ... leave a comment!