ad720-90

টুইটারে মার্কিন দুই সিনেটরের ওপর চড়াও অ্যামাজন 


রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে অ্যামাজন প্রথম আক্রমণ শানায় বুধবার। অ্যামাজনের বৈশ্বিক ভোগ্যপণ্য ব্যাসায়ের প্রধান ডেভ ক্লার্ক পোস্ট করেন একটি টুইট। “বার্নি স্যান্ডার্সের আসলে অ্যালাবামা বাদ দিয়ে ভারমন্টে গিয়ে ন্যূনতম মজুরী নিয়ে কথা বলা উচিৎ।”

সিনেটর স্যান্ডার্সের নিজের অঙ্গরাজ্য ভারমন্টে ন্যূনতম মজুরি এখনও ঘণ্টায় ১১.৭৫ ডলার। এদিকে সিনেটর অ্যালাবামায় অ্যামাজন কর্মীদের সভায় গিয়ে বক্তৃতা দিয়েছেন, তাদের ইউনিয়ন করার অধিকারের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এসেছেন।

সিনেটর স্যানডার্স গত দুই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেই প্রার্থী হিসেবে বড় গলায় বলে এসেছেন ন্যূনতম মজুরি ঘণ্টায় অন্তত ১৫ ডলার হওয়া উচিৎ।

সিনেটর স্যান্ডার্স অ্যালাবামায় গিয়ে বক্তৃতায় অ্যামাজন কর্মীদের ইউনিয়ন করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বলেন, “আপনি যখন লড়াই করার জন্য উঠে দাঁড়াবেন, এখানে আপনি কেবল বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ শক্তিশালী কর্পোরেশন নয়, আপনি বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে লড়াই করছেন এবং আপনি লড়াই করছেন ইউনিয়ন বিরোধী পরিস্থিতিতে।”

প্রতিষ্ঠানটি সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেনের ওপরও এক হাত নিয়েছে। ওয়ারেন সম্প্রতি টুইটারে বলেন যে তিনি “ইউনিয়ন পেটানো” প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। “সেইসব বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়ার জন্য যাতে তারা সিনেটদের মুখের ওপর জঘণ্য সব টুইট করতে না পারে।”

এই টুইটে কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম না নিলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণায় সিনেটর ওয়ারেন অ্যামাজনসহ বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

প্রথমিকভাবে প্রতিক্রিয়ায় অ্যামাজন বলছে ওই টুইট ছিল “অতি অস্বাভাবিক এবং গোমর ফাঁস করে দেওয়া”।

টুইটে অ্যামাজন বলছে, “আমেরিকার অন্যতম ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ বলছেন যে, তিনি বড় প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে দিতে চান যাতে তারা উনার সমালোচনা করতে না পারে!”

প্রতিক্রিয়ার জন্য রয়টার্সের অনুরোধে অ্যামাজন সাড়া দেয়নি। সিনেটর স্যান্ডার্স বা ওয়ারেনও এ নিয়ে আর কিছু বলেননি।

কেবল অ্যামাজনই যে ওয়াশিংটনের চাপে অধৈর্য্য আচরণ করছে, তা নয়। এর আগে ভুল তথ্য প্রচার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসের শুনানি চলাকালীন স্পষ্টতই হতাশ হয়েছেন টুইটার সিইও জ্যাক ডরসি। জানুয়ারির ৬ তারিখে মার্কিন ক্যাপিটল হিলের ওপর হামলায় টুইটারের দায় আছে কি না সেই প্রশ্নে জবাব যখন শুধু ‘হ্যা’ বা ‘না’ সূচক জবাব চাওয়া হয় তখনই টুইটার সিইও একটা প্রশ্নেবোধক চিহ্ন টুইট করেন আর সঙ্গে জুড়ে দেন একটি পাঠক জরিপ।

এক পর্যায়ে ডেমোক্রেট দলের প্রতিনিধি ক্যাথলিন রাইস ডরসিকে জিজ্ঞেস করেন: “মি। ডরসি, আপনার টুইটার অ্যাকাউন্ট জরিপে কি জিতছে, হ্যাঁ না কি না? “

ডরসি তাকে জবাবে বলেন, “হ্যাঁ” জিতছে। এর জবাবে ক্যাথলিন রাইস টিপ্পনি কাটেন, “আপনার মাল্টি টাস্কিং দক্ষতা বেশ চিত্তাকর্ষক”।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar