টেনসেন্টের একটি স্টুডিও থেকেই আয় হাজার কোটি ডলার
বছরে ১০ বিলিয়ন ডলারের আয় টিমিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গেইম ডেভেলপার করে তুলবে, যেটি অনেক পর্যবেক্ষকই অনুমান করেছিলেন বলে উঠে এসেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
এর ফলে মোবাইলের গেইমের জগত ছাপিয়ে ডেস্কটপ পিসি, সনির প্লেস্টেশন, নিনটেন্ডোর সুইচ এবং মাইক্রোসফটের এক্সবক্সের মতো প্ল্যাটফর্মেও চলে আসবে এই গেইম ডেভেলপার। পাশাপািশ, ‘এএএ’-র মতো ব্যায়বহুল গেইমের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হয়ে প্রথম সারির বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরাসরি প্রতিযোগিতার সুযোগ পাবে।
টেনসেন্ট দেশের বাইরে গেইম নির্মাণ স্টুডিও তৈরি করছে। এর মধ্যে একটি টিমির জন্য এবং আরেকটি লাইটস্পিড এবং কোয়ান্টামের জন্য। দুটি স্টুডিওই লস অ্যাঞ্জেলেসে। বিশ্বব্যাপী আবেদন থাকবে এমন মৌলিক গেইম আনার পরিকল্পনা আছে প্রতিষ্ঠান দুটির।
টেনসেন্টের লক্ষ্য হল দেশের বাইরে থেকে গইমভিত্তিক আয়ের অন্তত অর্ধেক উপার্জন করা। সর্বশেষ তথ্য অনুসারে ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকে যা ছিল শতকরা ২৩ ভাগ। এদিকে অনেক বড় স্টুডিও তাদের “হার্ডকোর” ডেস্কটপ বা কনসোল গেইমগুলিকে মোবাইলে প্ল্যাটফর্মে আনার জন্য টেনসেন্টের দিকে ঝুঁকছে।
গত সপ্তাহে টেনসেন্ট ২০২০ সালে অনলাইন গেইম থেকে ১৫৬.১ বিলিয়ন ইউয়ান বা ২৩.৭৯ রিলিয়ন ডলার আয়ের কথা জানিয়েছে। অবশ্য প্রতিষ্ঠানটি তার স্টুডিওগুলির আয় আলাদাভাবে দেখায়নি। এই স্টুডিওগুলি স্বাধীনভাবে কাজ করে এবং একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বীও।
বিশ্বব্যাপী লকডাউনের মধ্যে গেইমের জনপ্রিয়তা বাড়ায় টেনসেন্টও উপকৃত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি গত সপ্তাহেই বলেছে, অনলাইন গেইম থেকে এর আয় চতুর্থ প্রান্তিকে এসে ২৯% বেড়ে ৩৯.১ বিলিয়ন ইউয়ান হয়েছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!