ad720-90

আটকে গেল রাজনীতিবিদ বিষয়ে ফ্লোরিডার বিতর্কিত আইন


তালাহাসিতে যুক্তরাষ্ট্রের জেলা বিচারক রবার্ট হিঙ্কল একটি প্রাথমিক আদেশ জারি করে আইনটির প্রয়োগ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। বৃহস্পতিবার থেকে আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল।

ফ্লোরিডার নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতে দেওয়া আদেশে বিচারক বলেন, “আইনটির যে যে অংশ মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই আদেশ আইনটির সেই অংশে প্রয়োগ হবে”।

রায়ে বিচারক হিঙ্কল লিখেছেন, “বাদীরা সম্ভবত তাদের দাবির যথাযোগ্যতার ভিত্তিতে জয়ী হতে পারেন কারণ আইনটি প্রথম সংশোধনীকে লঙ্ঘন করে।”

মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনী নাগরিকদের বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেয়।

দুটি প্রযুক্তিবাণিজ্য সংগঠন নতুন আইন বিষয়ে মে মাসে ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করে।

মামলার দাবি, ফ্লোরিডার রিপাবলিকান গভর্নর রন ডিস্যান্টিস স্বাক্ষরিত বিলটি অসাংবিধানিক। ইন্টারনেট লবিয়িং গ্রুপ নেটচয়েস এবং কম্পিউটার অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (সিসিআইএ) মামলাটি দায়ের করে। গ্রুপগুলির সদস্যদের মধ্যে রয়েছে ফেইসবুক, টুইটার এবং অ্যালফাবেটের গুগল।

সোশাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠাগুলো কীভাবে অনলাইনে বক্তব্য ব্যবস্থাপনা করবে সে বিষয়টি নিয়ন্ত্রক প্রথম রাজ্য হওয়ার পথে ছিল ফ্লোরিডা। সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহারকারীদের উপর অন্যায়ভাবে কনটেন্ট মডারেশন চালাচ্ছে, এমন অভিযেগে নতুন আইনটি ফ্লোরিডার অ্যাটর্নি জেনারেল এবং রাজ্যের অন্যান্যদের পক্ষে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা সহজ করে দিতো।

মার্কিন ফেডালে আইনের ২৩০ ধারা ব্যবহারকারীদের পোস্ট করা কনটেন্টের উপর অনলাইন সংস্থাগুলিকে দায়বদ্ধতা থেকে রক্ষা করে। ওই আইনের আলোকে ইন্টারনেট আইন বিশেষজ্ঞরা এই আইনকে অসাংবিধানিক বলে সমালোচনা করেছেন।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটার, ফেইসবুক এবং ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা রিপাবলিকানদের দীর্ঘদিনের অভিযোগকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে যে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো রক্ষণশীলদের প্রতি বিরূপ এবং তাদের কণ্ঠরোধ করতে চায়।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar