ad720-90

ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ


মার্কিন গবেষকেরা ধারণা করেছিলেন, ২০১৭ সালের মধ্যে তাঁদের ৬০ শতাংশ নাগরিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা নেবে। সেদিকেই এগোচ্ছে দেশটি। কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, সারা বিশ্বই ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে উৎসাহী। তবে এই পদ্ধতির বড় ‘শত্রু’ নিরাপত্তা। তাই ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে নিরাপত্তা নিয়েই মাথা ঘামাতে হচ্ছে বিশেষজ্ঞদের। ভবিষ্যতে এই খাতের চেহারা কেমন দাঁড়াবে, তার খানিকটা ধারণা নেওয়া যাক।

কার্ড বা পিন ছাড়া এটিএম সেবা
বিশ্বের বড় বড় ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংক অব আমেরিকা এবং ওয়েলস ফার্গো এরই মধ্যে কার্ড ছাড়া এটিএম সেবা দিচ্ছে। গ্রাহকেরা টাকা লেনদেন করছে ডিজিটাল ওয়ালেট বা স্মার্টফোন ব্যবহার করে। তবে এ ধরনের সেবার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা একটি বড় বিষয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেকনোলজি (এনআইএসটি) বলেই দিয়েছে, খুদে বার্তার মাধ্যমে পিন (পারসোনাল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) কিংবা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) সরবরাহ করা বরাবরই ঝুঁকিপূর্ণ। ফলে অদূর ভবিষ্যতে এগুলোর বালাই আর থাকবে না। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে নিরাপদ। তাই আঙুলের ছাপ, কণ্ঠ কিংবা মুখমণ্ডল স্ক্যানের মতো প্রযুক্তি অচিরেই হবে আরও জনপ্রিয়।

নিরাপত্তা হবে আরও জোরদার
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিরাপত্তা রক্ষা করছে বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান। এই নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে চলছে নিরন্তর গবেষণা। গ্রাহকবান্ধব এবং নিখুঁত নিরাপত্তা অবশ্য সহজ কোনো বিষয় নয়। কারণ, ‘দুষ্টু’ লোকেরাও বসে নেই। তাই বায়োমেট্রিক পদ্ধতির বেলায়ও যোগ করা হচ্ছে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা। গ্রাহক এখন ফোনে আঙুলের ছাপ দিচ্ছে, প্যাটার্ন আঁকছে কিংবা মুখে কিছু বলছে পাসওয়ার্ডের বিকল্প হিসেবে। এগুলো যাতে নিখুঁতভাবে পরীক্ষিত হয়, সে জন্য ডিজিটাল মাধ্যমগুলোর প্রতিটি গ্রাহককে প্রতিনিয়ত যাচাইয়ের মধ্যে রাখবে। তাদের আঙুলের ছাপ এবং চোখের ওপরেও রাখা হবে সর্বদা সতর্ক দৃষ্টি এবং কণ্ঠের বেলায় খোলা থাকবে কান।

ঘরেই চলে যাবে ব্যাংক
সম্প্রতি মার্কিন ব্যাংকগুলোর শাখা বন্ধ হয়ে যাওয়ার হার বেড়ে গেছে অনেক। ২০০৯ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বন্ধ হয়েছে প্রায় ৮ হাজার শাখা। আজ হোক কাল হোক, ব্যাংকগুলো ঋণ দেওয়ার মতো বিভিন্ন কাজ একটিমাত্র স্থানে বসেই সেরে ফেলবে। গ্রাহকের সঙ্গে যোগাযোগ হবে ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে। এর জন্যও প্রয়োজন নতুন যাচাইকরণ পদ্ধতি এবং বাড়তি নিরাপত্তার সমাধান। এ ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলো গ্রাহককে নিদির্ষ্ট কিছু আইডি ফরমের ছবি এবং সেলফিও চাইতে পারে। এর সঙ্গে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যাচাই প্রক্রিয়া তো থাকবেই। আর সইয়ের জন্য থাকবে ই–সিগনেচারের ব্যবস্থা।

সূত্র: পেমেন্টস জার্নাল, যুক্তরাষ্ট্র





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar