ad720-90

দেখেনিন কিভাবে এন্ড্রয়েড এ্যাপ পিসিতে চালাবেন [ New Style ]


সাধারণ গেম থেকে শুরু করে প্রোগ্রামিং—কী নেই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের তালিকায়। অ্যাপস ডেভেলপারদের প্রচেষ্টায় এসব অ্যাপসের সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। অ্যাপসগুলো আবার বেশিরভাগই বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

এতোদিন তো এন্ড্রয়েড এ্যাপস শুধু এ্যান্ড্রয়েড আর ট্যাবে চালালেন । কিন্তু এবার পিসিতে এন্ড্রয়েড এ্যাপস চালালে কেমন হয়?? নিশ্চয় মজার হবে…….


অ্যান্ড্রয়েড ফোন আর ট্যাবের পাশাপাশি উইন্ডোজ পিসিতেও এসব অ্যাপস চালানো গেলে মন্দ হয় না। সরাসরি সেই সুযোগ না থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে এই কাজটি সহজ করে দিতে হাজির হয়েছে বেশকিছু পদ্ধতি। জানাচ্ছি আমি AH Tasnim

স্মার্টফোন বা ট্যাবলেটের লাখ লাখ অ্যাপস কি আর উইন্ডোজ পিসিতে ব্যবহার করা যায়? এই প্রশ্নের উত্তরে এখন আর ‘না’ বলার উপায় নেই। থার্ড-পার্টি কোম্পানিগুলো তো বটেই, গুগল নিজেই এই সুযোগ করে দিতে বের করেছে একাধিক পদ্ধতি। এদের প্রতিটিই অন্যটির তুলনায় আলাদা ধরনের হলেও মূল লক্ষ্য এক। আর তা হলো—অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসগুলোকে উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে চালানোর সুবিধা করে দেওয়া। প্রতিটি কৌশলেরই রয়েছে নিজস্ব শক্তিশালী ও দুর্বল দিক। এই লেখায় এমন কয়েকটি পদ্ধতির কথাই তুলে ধরা হলো।

ক্রোমের জন্য আর্ক ওয়েল্ডার
আর্ক ওয়েল্ডার ফর ক্রোম নামের এই পদ্ধতির মূলে রয়েছে আর্ক ওয়েল্ডার নামের একটি এক্সটেনশন। গুগল ক্রোম ওয়েব ব্রাউজারের জন্য তৈরি করা হয়েছে এই এক্সটেনশটি। আর সে কারণে এই পদ্ধতিতে কেবল উইন্ডোজ নয়, গুগল ক্রোম ব্যবহার করা যায় এমন যেকোনো প্ল্যাটফর্মেই ব্যবহার করা যাবে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস। আর্ক শব্দটির পূর্ণ রূপ হলো অ্যাপ রানটাইম ফর ক্রোম (ARC-App Runtime for Chrome)।
যেকোনো প্ল্যাটফর্মের জন্যই এর ব্যবহারবিধি মোটামুটি একই। এই পদ্ধতিতে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস চালাতে হলে প্রথমেই গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে ক্রোম ওয়েবস্টোরে গিয়ে এই ঠিকানা থেকে ইনস্টল করে নিতে হবে আর্ক ওয়েল্ডার এক্সটেনশনটি। তাহলেই ক্রোম ব্রাউজারের অ্যাপ লঞ্চারে যুক্ত হয়ে যাবে আর্ক ওয়েল্ডার। এরপর কাঙ্ক্ষিত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসগুলো চালানোর জন্য প্রয়োজন হবে এসব অ্যাপসের এপিকে (.APK) ফাইল। স্মার্টফোনে অ্যাপসের ব্যাকআপ থেকে পাওয়া যাবে এপিকে ফাইল। ApkMirror বা এমন সাইট থেকেও বিভিন্ন অ্যাপসের এপিকে ফাইল ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। এরপর ক্রোম ব্রাউজারে গিয়ে আর্ক ওয়েল্ডার চালু করে কাঙ্ক্ষিত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসের এপিকে ফাইলটি নির্বাচন করে দিতে হবে। আর তাহলেই চলতে শুরু করবে অ্যাপস। গুগল প্লে সার্ভিসের জন্য এখনও ন্যাটিভ সাপোর্ট চালু না হওয়ায় কিছু কিছু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস চলতে সমস্যাও হতে পারে এতে। তবে জনপ্রিয় এবং বহুলব্যবহূত বেশিরভাগই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসই এতে নির্বিঘ্নে চলে। এভারনোট, ইনস্টাগ্রাম, ফ্লিপবার্ডের মতো সব অ্যাপস চালাতেও কোনো সমস্যা হয় না আর্ক ওয়েল্ডারে।


এতে অবশ্য একইসাথে অনেকগুলো অ্যাপস ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

তবে তারপরও সাধারণ যে কারও জন্য উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ব্যবহারের জন্য আর্ক ওয়েল্ডার হতে পারে আদর্শ একটি কৌশল।

অ্যান্ড্রয়েড ইমুলেটর

আর্ক ওয়েল্ডার তৈরির আগেও উইন্ডোজ পিসিতে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস চালানোর জন্য গুগল তৈরি করেছে অ্যান্ড্রয়েড ইমুলেটর। মূলত অফিশিয়াল সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট (এসডিকে) হিসেবেই এটি রিলিজ করে গুগল। অ্যান্ড্রয়েড ইমুলেটর মূলত কোনো একটি পিসির ডিসপ্লে রেজ্যুলেশন এবং হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনের ওপর ভিত্তি করে চাহিদামতো কনফিগারেশনের একটি ভার্চুয়াল অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস তৈরি করে। এই ভার্চুয়াল অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি যেকোনো সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি করা যায়। এর জন্য গুগল সাইট থেকে Google Site Linkঅ্যান্ড্রয়েড ইমুলেটরের এসডিকে প্যাকেজ ডাউনলোড করে নিতে হবে। এটি ইনস্টল করে নিলে এভিডি (অ্যান্ড্রয়েড ভার্চুয়াল ডিভাইস) ম্যানেজারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে ভার্চুয়াল অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি। এই ডিভাইসটি অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ওপেন সোর্স সংস্করণ হওয়ায় এতে কোনো ধরনের অ্যাপস বিল্ট-ইন থাকবে না। এমনকি গুগলের নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশনগুলোও থাকবে না এতে। তাই প্রয়োজনীয় বা কাঙ্ক্ষিত যেকোনো অ্যাপস চালানোর জন্য দরকার হবে প্রয়োজনীয় অ্যাপসের এপিকে ফাইল। এপিকে ফাইলগুলোকে এসডিকে ডিরেক্টরির টুলস ফোল্ডারে রেখে এগুলোকে ভার্চুয়াল ডিভাইসের অ্যাপ লিস্টে যুক্ত করে দিতে হবে। এই ইমুলেটরটি একেবারেই ‘আনমোডিফায়েড’ অ্যান্ড্রয়েড হওয়ায় এতে দুয়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসই নির্বিঘ্নে চলবে। অবশ্য এতে অ্যাপসগুলোর গতি হবে একটু ধীর। এই ইমুলেটরটি অবশ্য ডেভেলপারদের জন্য খুব কাজের একটি টুলস। এতে বিভিন্ন ধরনের কনফিগারেশনের ভার্চুয়াল ডিভাইস তৈরির সুবিধা থাকায় ডেভেলপার যেকোনো অ্যাপস তৈরি করে ভিন্ন ভিন্ন কনফিগারেশনের ডিভাইসে এর পারফর্ম্যান্স পরখ করে দেখতে পারবেন উইন্ডোজ পিসি থেকেই।
অ্যান্ড্রয়েড পিসি পোর্ট
ইনস্টলেশন এবং শুরুর দিককার কিছু ঝামেলা থাকলেও উইন্ডোজ পিসিতে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস ভালোভাবে চালানোর চমত্কার একটি মাধ্যম অ্যান্ড্রয়েড পিসি পোর্ট। অ্যান্ড্রয়েড পিসি পোর্ট মূলত অ্যান্ড্রয়েডের এমন একটি বিশেষায়িত সংস্করণ যা উইন্ডোজ ডেস্কটপ পিসিতে ইন্সটল হতে পারে। মূলতই মোবাইল ডিভাইসের জন্য ডিজাইন করা বলে ডেস্কটপে এই সংস্করণগুলো কাজ করলেও খানিকটা সীমাবদ্ধতা কাজ করে থাকে। অ্যান্ড্রয়েডের এমন যে কয়েকটি সংস্করণ রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় দুইটি সংস্করণ হলো অ্যান্ড্রয়েড অন ইন্টেল আর্কিটেকচার Android On Architecture Site Link এবং অ্যান্ড্রয়েড এক্স-৮৬ প্রজেক্ট Android X-86 Link। এগুলোর জন্য অবশ্য হার্ডওয়্যারের বিশেষ কনফিগারেশন অনুসরণ করতে হবে। তবে কনফিগারেশন সমর্থন না করলে একে ভার্চুয়াল বক্সের মাধ্যমেও পিসিতে ইনস্টল করে নেওয়া যেতে পারে। উইন্ডোজ পিসিতে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ভেতরেই ইনস্টল করা যায় অ্যান্ড্রয়েড পিসি পোর্ট। তবে উইন্ডোজ হার্ডডিস্কের আলাদা একটি ড্রাইভে একে আলাদা একটি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে ইনস্টল করে নিলে পারফর্ম্যান্স ভালো পাওয়া যাবে। এই পদ্ধতিতেও গুগল প্লে ব্যবহারের সুযোগ নেই। ফলে দরকার অনুযায়ী অ্যাপসগুলোকে এপিকে ফাইল থেকে আলাদা করে ইনস্টল করে নিতে হবে।
ব্লুস্ট্যাকস অ্যাপ প্লেয়ার
বিভিন্ন ধরনের মাল্টিমিডিয়া ফাইল চালানোর জন্য আমরা মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার ব্যবহার করে থাকি। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপসগুলোকে তেমনি পিসিতে চালানোর জন্য ব্যবহার করা যায় ব্লুস্ট্যাকস অ্যাপ প্লেয়ার। ইন্টারফেস এবং প্রত্যক্ষ কর্মপদ্ধতিতে একে সহজ-সরল একটি সফটওয়্যারের মতো দেখা গেলেও কাজ করার জন্য এটি আদতে একটি অত্যন্ত শক্তিশালী ও কাস্টমাইজ করা পূর্ণাঙ্গ অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম রান করে থাকে। শুধু তাই নয়, ব্লুস্ট্যাকস অ্যাপ প্লেয়ারে বিল্ট-ইন হিসেবেই রয়েছে গুগল প্লেস্টোর। ফলে অ্যাপ ব্যবহারের জন্য এপিকে ফাইল ডাউনলোড, ম্যানুয়ালি অ্যাপ ইনস্টলেশনের কোনো ঝামেলা নেই এতে। অ্যান্ড্রয়েডে আপনার ব্যবহূত সকল অ্যাপের তথ্যও এটি ব্যবহার করে। ফলে কোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আপনার কেনা কোনো অ্যাপ থাকলে সেটি এতে সরাসরি ব্যবহার করা যাবে। প্লেস্টোরে আবার এটি নিজেকে পরিচয় দেয় একটি গ্যালাক্সি নোট২ ডিভাইস হিসেবে। ব্লুস্ট্যাকসের ইন্টারফেসে রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুগল প্লেস্টোরের অ্যাপসের তালিকা, রয়েছে অ্যাপ সার্চের সুযোগ। সাধারণ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে যেভাবে কাজ করা যায়, ব্লুস্ট্যাকসেও কাজ করা যাবে একইভাবে। শুধু তাই নয়, ব্লুস্ট্যাকসের মাধ্যমে থার্ড-পার্টি লঞ্চার ডাউনলোড করে সেটিকেও ডিফল্ট হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। ব্লুস্ট্যাকস ডাউনলোড করতে ভিজিট করুন Click To Download

সকল সিমের অফার এবং ফ্রী নেট চালানোর টিপস পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন

iTTasnim.com





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar