ad720-90

বাংলাদেশি উইন্ডোজ গেমারদের যত অসুবিধা


আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সবাই ভালো আছেন। TrickBD এর পক্ষ থেকে সবাইকে কে টেক ওয়ার্ল্ডে স্বাগতম। আজ আপনাদের মাঝে কিছু সমস্যা নিয়ে এসেছি গেমিং ভিত্তিক। গেমার দের যত অসুবিধা রয়েছে তা আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে। আশা করি সবার পছন্দ হবে ইনশাল্লাহ। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

কিছু কথা

বাংলাদেশে অনেক কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা গেম হয়ে থাকে গেম খেলার সময়। সেই অসুবিধা ও তার সমাধান আজ আপনাদের বলব আমি। সমস্যা হয় মূলত পাইরেট গেমারদের। পাইরেট গেমার অর্থাৎ যারা গেমস না কিনে ক্রেকড গেমস ডাউনলোড করে খেলেন। মূলত তাদেরই সমস্যা হতে থাকে।

অসুবিধা সমূহ

  • আপডেট পাওয়া যাবে না
  • মাল্টিপ্লেয়ার মোড খেলা যাবে না
  • বাগ ধরা পড়লে তা ঠিক করা যাবেনা
  • ভাইরাসঅ্যাটাক এর সম্মুখীন হতে হবে

আপডেট পাওয়া যাবে না

পাইরেট গেমার হওয়া বিধায় আপনি গেম এর কোন প্রকার আপডেট পাবেন না। যা একটি চেনাজানা সমস্যা। ধরুন আপনি জানুয়ারি মাসে Assassin’s Creed এর একটি গেম ডাউনলোড করেছেন এবং সেই গেম এর আপডেট দুমাস পর ই মার্চ মাসে এসে গেছে। এখন সেই আপডেট আপনার গেম এর সাথে এড করতে চান। কিন্তু সেটা আপনি পারবেন না কারণ আপনি জানুয়ারি মাসে যে গেমটি ডাউনলোড করেছিলেন সেটি ছিল ক্রেকড। আর ক্রেকড গেমের কখনো আপডেট হয় না। তাই আপনি আপডেটের কোন মজা পাবেন না।

মাল্টিপ্লেয়ার মোড খেলা যাবে না

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গেম লোড হচ্ছে মাল্টিপ্লেয়ার। প্রফেশনাল ক্যামেরা সাধারণত মাল্টিপ্লেয়ার খেলার মাধ্যমে তাদের স্কিল ডেভেলপ করে থাকে। ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে গেম এর মধ্যে থাকা আসল প্লেয়ারদের সাথে গেম খেলা কে মাল্টিপ্লেয়ার মোড বলে। মাল্টিপ্লেয়ার মোড যুক্ত একটি জনপ্রিয় গেম হচ্ছে PUBG. আমাদের মাঝে খুব অল্প ব্যক্তি রয়েছে যারা পাবজির নাম শোনেনি। পাবজি হচ্ছে একটি ব্যাটেল রয়েল গেম। পাবজি মতো গেম কখনোই ক্র্যাক করা যায় না। আপনি যদি ক্র্যাক ভার্শন পেয়ে থাকেন সেটি দিয়ে কখনই ব্যাটেল রয়াল মোড খেলতে পারবেন না। পাবজি মতো এরকম আরো অনেক গেম রয়েছে যাতে প্যাটেলের মূর্তি রয়েছে এবং সেই গেম গুলো ক্র্যাক করা অসম্ভব। তাই পাইরেট গেমার হিসেবে আপনি সেই গেম গুলো খেলতে পারবেন না।

বাগ ধরা পড়লে তা ঠিক করা যাবেনা

বাগ শব্দের অর্থ হলো ছোটখাটো সমস্যা। এন্ড্রয়েড ইউজার হয়ে থাকলে আপনি অবশ্যই এই শব্দটি শুনে থাকবেন। অ্যান্ড্রয়েড এও অনেক রকমের বাগ থাকে। সেরকমভাবে পাইরেটেড গেমেও বাগ থাকে। ধরুন আপনি গেম খেলছেন, হঠাৎ করে শেষের দিকে আর গেমের মিশন এগোতে পারছেন না। এটি এক ধরনের বাগ। পাইরেট গেমার হওয়ার দরুন আপনি এই বাগটি কখনোই ঠিক করতে পারবেন না। তাই আপনার প্রগ্রেস করা গেমটি সেখানে ছেড়ে দিতে হবে।

ভাইরাস অ্যাটাক এর সম্মুখীন হতে হবে

আমার মতে পাইরেট গেমারদের এটি সবচেয়ে বড় সমস্যা বা অসুবিধা। পাইরেট বা ক্র্যাক করা গেমে সাধারণত ভাইরাস থাকে। কিছু কিছু গেমে হয়তো নাও থাকতে পারে। আর যেসব ক্রেকড গেম এ ভাইরাস থাকে সেই গেমগুলো যখন আপনি ইন্সটল করবেন তখন আপনার উইন্ডোসএ সেই ভাইরাসগুলো অ্যাটাক করতে পারে। যা আপনার কম্পিউটারের অনেক বড় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। অথবা আপনি ইন্সটল করার সময় ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকলে ইন্টারনেট থেকেও ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে আসতে পারে। এমনকি হ্যাকারদের কাছে আপনার পুরো কম্পিউটারের কন্ট্রোল চলে যেতে পারে।

সমাধান

তাহলে এই ছিল পাইরেট গেমারদের যত অসুবিধা। এই সব সমস্যার সমাধান হিসেবে একটি উপায় রয়েছে, সেটি হচ্ছে আপনি যে গেমটি খেলতে চান সেটি আপনাকে কিনে নিতে হবে অফিশিয়ালি। তাহলে উপরোক্ত কোন ধরনের প্রবলেম ফেস করতে হবে না। কিন্তু মূল সমস্যা সেখানেই কারণ বড় বড় গেম গুলির দাম অনেক হয়ে থাকে। যেমন ধরুন পাবজি গেম টার দাম প্রায় ৫০০০ টাকা। আমরা বাংলাদেশীরা গেম এর পিছনে এত টাকা খরচ করতে চাই না বিধায় ক্রেকড গেম খেলতে হয় আমাদের। কিন্তু আপনি যদি উপরের সমস্যাগুলো না চান তাহলে গেম কেনা ছাড়া কোন উপায় নেই।

পরিশেষে

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ, আশা করি ভালো থাকবেন, পরের পোস্টে দেখা হবে। পোস্ট ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক করুন এবং আপনার মতামত জানান।

ধন্যবাদ





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar