ad720-90

ওয়াই ফাই কলিং কি এবং এটা যেভাবে কাজ করে


মোবাইল ফোন ইনড্রাস্টি এই যুগে হাজার হাজার কোটি কোটি টাকা খরচ করছে তাদের নেটওর্য়াক কভারেজকে আরো শক্তিশালি করার জন্য। বাংলাদেশের কথাই ধরুন, দেশে ৩জি প্রযুক্তির মোবাইল ইন্টারনেট সেবা এসে গেছে তাও বেশ কবছর হয়ে গেল, সামনের ৪ কিংবা ৫ মাসের মধ্যে ৪জি ও চলে আসার কথা শুনা যাচ্ছে। কিন্তু এখনো বাংলাদেশের সবর্ত্র মোবাইল কভারেজ দেওয়া সম্ভব হয় নি।

বিশেষ করে বাংলাদেশের গভীর গ্রাম অঞ্চলে এখনো মোবাইল নেটওর্য়াক ততটা শক্তিশালি হয় নি। আর বিশ্বের দিকে লক্ষ্য করলেও আমরা দেখবো বিভিন্ন দেশে এখনো অনেক জায়গায় মোবাইল নেটওর্য়াক ততটা শক্তিশালি নয়। তবে এখন প্রায় সব ইন্টারন্যাশনাল ক্যারিয়ারগুলো ওয়াই ফাই কলিং এর সুবিধা দিয়ে দিচ্ছে যার মাধ্যমে আপনি দুনিয়ার যেকোনো জায়গা থেকে ওয়াই ফাই কানেকশনের মাধ্যমে কল কিংবা মেসেজ আদান প্রদান করতে পারবেন।

আজকের টিউনে আমি ওয়াই ফাই কলিং কি এবং বিশ্বের কোন কোন মোবাইল কোম্পানি এই ফিচারটি সাপোর্ট করে সেটা নিয়ে আলোচনা করবো। তো চলুন কথা না বাড়িয়ে চলে যাই মূল টিউনে:

ওয়াই ফাই কলিং কি?

ওয়াই ফাই কলিং সম্পর্কে প্রথমেই যে জিনিসটি জানতে হবে তা হলো এর জন্য বিশেষ কোনো লগ ইন বা এপ্লিকেশন এর দরকার হয় না। আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ইন্টার ন্যাশনাল মোবাইল ক্যারিয়ার কোম্পানি এই ওয়াই ফাই কলিং কে ফ্রি সার্ভিস হিসেবে উন্মুক্ত করে দিয়েছে। তবে ইন্টারন্যাশনাল কলিং এর ক্ষেত্রে ইন্টারন্যাশনাল কলিং চার্জ প্রযোজ্য হয়।

ওয়াই ফাই কলিং অনেকটা স্কাইপ, ওয়াটস এপপ কল এর মতোই, শুধু এখানে কোনো থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন এর প্রয়োজন হয় না। থার্ড পার্টি এপসের মাধ্যমে কলের থেকে ওয়াই ফাই কলের জন্য অতিরিক্ত কিছু সুবিধা ব্যবহারকারীরা পেয়ে থাকে। যেমন ওয়াই ফাই কলিংয়ে আপনি সরাসরি আপনার ফোনের ডায়াল প্যাড ব্যবহার করে যে কোনো নাম্বারে কল করতে পারছেন কিংবা সরাসরি আপনার ফোন বুক থেকে পছন্দের নাম্বারে কল দিতে পারছেন। এর মাধ্যমে সময় এবং কনফিউশন দুটোর হাত থেকেই রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

এই ধরণের ওয়াইফাই কলিং এর জন্য সবথেকে উপযুক্ত স্থান হচ্ছে সেসব জায়গা যেখানে কোনো মোবাইল নেটওর্য়াক নেই কিংবা নেটওর্য়াক খুবই দুর্বল। যেমন বাংলাদেশের বিভিন্ন টিনের ঘরগুলোতে মোবাইল নেটওর্য়াক নিয়ে বেশ ঝামেলা হয়। এই সব স্থানে ওয়াই ফাই সংযোগের মাধ্যমে ওয়াই ফাই কলিং বেশ কাজে দেবে।

দুভার্গ্যবশত বাংলাদেশে এখনো কোনো মোবাইল ক্যারিয়ার কোম্পানিই ওয়াই ফাই কলিং ফিচারটি শুরু করে নি। তবে আমেরিকায় তাদের শীর্ষস্থানীয় ৪টি মোবাইল ক্যারিয়ার (AT&T, T-Mobile, Spring এবং Verizon) কোম্পানিগুলো ওয়াই ফাই কলিং সুবিধা দিচ্ছে।

আর এদিকে বর্তমানের যুগের প্রায় সকল স্মার্টফোনই ওয়াই কলিং ফিচারটি সার্পোট করে। আইফোন ৫সি থেকে শুরু করে বর্তমানের আধুনিক এন্ড্রয়েড ফোনগুলোতে আপনি ওয়াই ফাই কলিংয়ের সুবিধাটি খুঁজে পাবেন।

আপনার আইওএস ডিভাইসে ওয়াই ফাই কলিং সুবিধাটি এনেবল করতে ডিভাইসের সেটিংয়ে যান, সেখান থেকে Phone > Wi-Fi Calling অপশনে চলে যান। এই স্ক্রিণ থেকে Wi-Fi Calling on This iPhone অপশনটি টুগেল করে দিন। বাই ডিফল্ট ওয়াই ফাই কলিং অপশনটি বন্ধ করা থাকে।

আর এন্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোতে Wireless and Networking setting এর মধ্যে আপনি ওয়াই ফাই কলিং ফিচারটি খুঁজে পাবেন যদি আপনার এন্ড্রয়েড ডিভাইসটি এটি সাপোর্ট করে থাকে।

ওয়াই ফাই কলিং ফিচারটি চালূ করার পর আপনার মোবাইল অপারেটর অটোম্যাটিলে অবস্থা বুঝে ওয়াই ফাই কলিং ফিচারটি চালু করে দিবে এবং আপনি এই ফিচারটি উপবোগ করতে পারবেন।

আশা করি আজকের এই ছোট টিউনের মাধ্যমে ওয়াই ফাই কলিং সম্পর্কে আপনাদেরকে বেসিক ধারণা দিতে পেরেছি। বাংলাদেশে ৪জি আসার পর এই ওয়াই ফাই কলিং সুবিধাটি হয়তোবা চালু হতে পারে। দেখা যাক কি হয়।

আমার টিউন গুলো ভালো লাগলে অবশ্যই আমার টিউন বেশি বেশি জোসস করুন

আমার টিউন গুলো আপনার ‘টিউন স্ক্রিন’ নিয়মিত পেতে অবশ্যই আমাকে ফলো করুন। আমার টিউন গুলো সবার কাছে ছড়িতে দিতে অবশ্যই আমার টিউন গুলো বিভিন্ন সৌশল মিডিয়াতে বেশি বেশি শেয়ার করুন

আমার টিউন সম্পর্কে আপনার যে কোন মতামত, পরামর্শ ও আলোচনা করতে অবশ্যই আমার টিউনে টিউমেন্ট করুন

আমার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য ‘টেকটিউনস ম্যাসেঞ্জারে’ আমাকে ম্যাসেজ করুন। আমার সকল টিউন পেতে ভিজিট করুন আমার ‘টিউনার পেইজ’



সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar