ad720-90

আগামী বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যয় বাড়বে


ক্লাউড প্রযুক্তি গ্রহণের ফলে বিশ্বজুড়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে খরচের পরিমাণ বাড়বে। ২০১৯ সালে এ খাতে ৩ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান গার্টনার। ২০১৮ সালে এ খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার; অর্থাৎ আগামী বছরে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যয়ের পরিমাণ ৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। আইএএনএসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গার্টনার বলছে, ডিভাইস বা যন্ত্রাংশ—যেমন পিসি, ট্যাব ও মোবাইল খাতেও আগামী বছর ২ দশমিক ৯ শতাংশ ব্যয় বাড়বে। আগামী বছর এ খাতে ব্যয় দাঁড়াবে ৭০৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা এ বছর ছিল ৬৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বৃহস্পতিবার গার্টনারের রিসার্চ ভাইস প্রেসিডেন্ট জন-ডেভিড লাভলক বলেন, মুদ্রার অস্থিতিশীলতা ও সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধ তথ্যপ্রযুক্তিতে ব্যয়ের ক্ষেত্রে এখনো বড় ভূমিকা রাখছে। এখন অনেকেই নিজস্ব সার্ভার কেনার বদলে ক্লাউড সেবার দিকে যাচ্ছে।

২০১৯ সালে এন্টারপ্রাইজ সফটওয়্যার খাতের প্রবৃদ্ধি হবে সবচেয়ে বেশি। এ খাতে ৮ দশমিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত প্রবৃদ্ধি হতে পারে। প্রায় সব ধরনের সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেই সফটওয়্যার অ্যাজ আ সার্ভিস (সাস) হিসেবে প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে কাস্টোমার রিলেশনশিপ ম্যানেজমেন্ট (সিআরএম) সফটওয়্যারের প্রবৃদ্ধি বেশি হচ্ছে।

গার্টনার বলছে, এ বছর ক্লাউড সফটওয়্যারগুলোর ২২ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে। অন্যান্য সফটওয়্যারের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ শতাংশ।

ইআরপি, সিআরএম ও সাপ্লাই চেনের কোর অ্যাপ্লিকেশনগুলো আগামী বছরও বেশির ভাগ আয় করবে, তবে নিরাপত্তা ও প্রাইভেসি সফটওয়্যারেও আগ্রহ দেখা যাবে।

আগামী এক বছরে প্রতিষ্ঠানে সাইবার নিরাপত্তা প্রযুক্তি স্থাপনের পরিকল্পনার কথা বলেছেন বিশ্বের অধিকাংশ প্রধান কারিগরি কর্মকর্তারা। এ নিয়ে গার্টনার এক সমীক্ষাও করেছে। তারা বলছে, এ বছর ডেটা সেন্টার প্রযুক্তির ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। তবে আগামী বছর সার্ভারের চাহিদা কিছুটা কমবে। এরপর থেকে আগামী পাঁচ বছরজুড়েই সার্ভারের চাহিদা ১ থেকে ৩ শতাংশ হারে কমতে দেখা যাবে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar