ad720-90

ট্রিলিয়ন ডলার থেকে নামলো অ্যাপল


এক প্রান্তিকে রেকর্ড আয় হওয়া সত্ত্বেও বাজার মূল্য কমেছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির। আইফোনের দাম বাড়ানোর কারণে তিন মাসে আয় বাড়লেও কমেছে বিক্রি– খবর বিবিসি’র।

আগের বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে অ্যাপলের আয় ২০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২৯০ কোটি মার্কিন ডলারে। এতে প্রতিষ্ঠানের লাভ ৩১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৪১০ কোটি ডলার।

সামনের মাসগুলোতে বিক্রি কমার আশঙ্কা থাকায় বৃহস্পতিবার দিন শেষে কমেছে প্রতিষ্ঠানের শেয়ার মূল্য।

অ্যাপলের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, কী পরিমাণ ডিভাইস বিক্রি হচ্ছে তা জানানো বন্ধ করতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর থেকেই শেয়ার মূল্য পড়তে শুরু করে অ্যাপলের।

প্রতিষ্ঠানের সিদ্ধান্ত সমর্থন করে অ্যাপলের নির্বাহী কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থার জন্য বিক্রির সংখ্যা এখন আর ভালো সূচক নয়।

অন্যদিকে বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে, প্রতিষ্ঠানের বাইরের অনেকেই অ্যাপলের এই সিদ্ধান্তকে এক প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানের তুলনামূলক খারাপ ফলাফল ঢাকার চেষ্টা হিসেবে দেখতে পারেন।

সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া প্রান্তিকে ৪.৬৯ কোটি আইফোন বিক্রি করেছে অ্যাপল। আগের বছর একই প্রান্তিকে আইফোন বিক্রি হয়েছিল ৪.৬৭ কোটি।

ডিভাইসের পাশাপাশি অ্যাপ স্টোর, অ্যাপল মিউজিক এবং অ্যাপল পে সেবা থেকেও আগের চেয়ে বেশি আয় করছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রান্তিকে রেকর্ড এক হাজার কোটি মার্কিন ডলার আয় হয়েছে এই খাত থেকে।

২০১৮ অর্থবছরে অ্যাপলের লাভ বেড়েছে মোট ২৩ শতাংশ। অর্থের অঙ্কে এটি ৫৯৫০ কোটি ডলার। এ বছরে প্রতিষ্ঠানের আয় ১৬ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৬৫৫০ কোটি ডলার।

এ বিষয়ে অ্যাপলের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা লুকা মায়েস্ট্রি বলেন, “আমি এটা আবারও নিশ্চিত করছি যে আমাদের লক্ষ্য সব শ্রেণির পণ্যের বিক্রি বাড়ানো।”

“বিক্রির সংখ্যা এখন আর আগের মতো গুরুত্ত্বপূর্ণ নয়।”

অ্যাপলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয় ৩১ ডিসেম্বর শেষ হতে যাওয়া নতুন প্রান্তিকে ৮৯০০ থেকে ৯৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য বিক্রি আশা করছে তারা। অ্যাপলের জন্য এই প্রান্তিকে ৯৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বিক্রির ধারণা দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালও।

আগের বছর একই প্রান্তিকে মোট ৮৮৩০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য বিক্রি হয়েছিল প্রতিষ্ঠানটির।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar