যৌন হয়রানি বন্ধের দাবিতে গুগলকর্মীদের ধর্মঘট
লন্ডনে গুগল কর্মীদের আন্দোলন।
এ দিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যান ফ্রানসিসকোর অন্যতম পর্যটন এলাকা এমবারক্যাডেরো-তে আন্দোলনকারী গুগলকর্মীরা জড় হোন। এ সময় তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডগুলোতে ছিল ‘ডোন্ট বি ইভিল’ আর ‘#টাইমস আপ গুগল’ লেখা শ্লোগান। সেইসঙ্গে সেখান থেকে নারীদের প্রতি আরও সম্মান জানাতে ও নারী অধিকার বাস্তবায়নের দাবি তোলেন তারা, খবর আইএএনএস-এর।
জুরিখে আন্দোলরত গুগলকর্মীদের অবস্থান।
এ ছাড়াও নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, আটলান্টা, জার্মানির বার্লিন, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, জাপানের টোকিও এবং ভারতের হায়দ্রাবাদসহ বড় বড় শহরে এই আন্দোলনে নেমেছেন গুগল কর্মীরা।
সম্প্রতি মার্কিন নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর এক প্রতিবেদবনে বলা হয়, অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমের নির্মাতা ও গুগলের অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার বিভাগের সাবেক প্রধান অ্যান্ডি রুবিন যৌন হয়রানিমূলক আচরণে সম্পৃক্ত হওয়ায় তাকে জোর করে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আর এ অব্যাহতির জন্য তাকে গুগলের পক্ষ থেকে নয় কোটি ডলার দেওয়া হয়। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই গুগল কর্মীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন।
রুবিনের বিরুদ্ধে গুগলে অধীনস্থ এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে বলপূর্বক যৌন সম্পর্ক করার অভিযোগ আনা হয়।
চলতি মাসেই মার্কিন দৈনিকটির ওই অভিযোগ অস্বীকার করেন রুবিন। টুইটারে তিনি দাবি করেন, এসব অভিযোগে “গুগলে আমার চাকরি নিয়ে সঠিক নয় এমন কথা আছে আর আমার ক্ষতিপূরণ নিয়ে জঘন্যভাবে বাড়িয়ে বলা হয়েছে।”
গুগলের সিঙ্গাপুর কার্যালয় থেকেই এই আন্দোলন শুরু হয়।
চলতি বছর অক্টোবরে যৌন হয়রানির অভিযোগে শেষ দুই বছরে ৪৮ কর্মীকে বরখাস্ত করার কথা স্বীকার করে গুগল। এর মধ্যে আবার ১৩ জন জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক বা তার উপরের পদের।
গুগল প্রধান নির্বাহী সুন্দার পিচাই বলেন, যৌন হয়রানি বা অনুপুযুক্ত আচরণের জন্য কর্মীদের বিরুদ্ধে গুগল কড়া অবস্থান নেওয়ায় এসব ব্যক্তির কেউই বহিষ্কার হওয়ার সময় কোনো ক্ষতিপূরণ পাননি।
বৃহস্পতিবার আন্দোলন থেকে গুগল কর্মীরা যৌন হয়রানি ও প্রতিষ্ঠানগুলোতে থাকা বেতন বৈষম্য শেষ করার দাবি তুলেছেন।
Comments
So empty here ... leave a comment!