ad720-90

আরও স্যাটেলাইট পাঠানোর অনুমতি পেলো স্পেসএক্স


স্পেসএক্স-এর স্টারলিংক যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির লক্ষ্যেই পাঠানো হবে এই স্যাটেলাইটগুলো। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে দ্রুতগতির ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু করার অঙ্গীকার করেছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি যেসব জায়গায় বর্তমানে ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছানো কষ্টকর সেসব স্থানকেও ইন্টারনেটে যুক্ত করবে স্টাররলিংক– খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।

স্পেসএক্স-এর দাবি এই সেবার মাধ্যমে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে গিগাবিট গতির ইন্টারনেট সংযোগ পাবেন গ্রাহক। আর পুরো প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এর গতি হবে সেকেন্ডে ৩২ টেরাবাইট।

স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগ নতুন কোনো ধারণা নয়। কিন্তু প্রথাগত ইন্টারনেট স্যাটেলাইটে দ্রুত গতিতে ডেটা আপলোড করা যায়না। স্টারলিংক নেটওয়ার্ক সে সীমাবদ্ধতা দূর করবে।

সাধারণ ইন্টারনেট স্যাটেলাইটগুলোর সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্বের কারণে ডেটা পাঠানোর গতি কমে যায়। ভূপৃষ্ঠ থেকে যেসব ইন্টারনেট সেবা দেওয়া হয় তার চেয়ে মহাকাশে ইন্টারনেট স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ডেটা আদান প্রদানে বেশি সময় লাগে।

সংযোগে বিলম্ব হিসাব করা হয় মিলিসেকেন্ডে। সাধারণ ব্রডব্যান্ড সংযোগে যেখানে বিলম্ব হয় ২০ মিলিসেকেন্ড, সেখানে স্যাটেলাইট ইন্টারনেটে বিলম্ব হয় ৫৫০ মিলিসেকেন্ড। স্পেসএক্স-এর দাবি তাদের স্যাটেলাইট নেটওয়ার্কে বিলম্ব হবে ২৫-৩০ মিলিসেকেন্ড।

বর্তমান ইন্টারনেট স্যাটেলাইটগুলোর এই সমস্যার কারণে নির্দিষ্ট কিছু কাজেই শুধু এগুলো ব্যবহার করা হয়।

সমস্যা দূর করতে অপেক্ষাকৃত নীচের কক্ষপথে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলো পাঠাবে স্পেসএক্স, পৃথিবী থেকে ৩৪০ কিলোমিটার উচ্চতায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের কক্ষপথের ভেতরে।

মাত্র কয়েক বছরের জন্য পাঠানো হবে স্টারলিংক স্যাটেলাইটগুলো। এরপরই সেগুলো ধ্বংস করে ফেলা হবে। ধারণা করা হচ্ছে এই সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করবে স্যাটেলাইটগুলো।

সফল হলে স্পেসএক্স-এর আয়ে বড় উৎস হতে পারে স্টারলিংক প্রকল্প।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar