ad720-90

‘ব্রাহ্মণবিরোধী’ পোস্টার নিয়ে বিপাকে টুইটার


হিন্দু ধর্মালম্বীদের বর্ণপ্রথায় সবচেয়ে ‘উচ্চবর্ণ বা শ্রেণি’ ধরা হয় ব্রাহ্মণদের।

এই ঘটনায় ইতোমধ্যে টুইটার ক্ষমা চেয়েছে ও দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীর এমন কাজকে “ঘৃণামূলক প্রচারণা” হিসেবেই দেখছেন কোনো কোনো ভারতীয়, এমনটাই বলা হয়েছে রয়টার্স-এর প্রতিবেদনে।

গেল সপ্তাহে ভারত ভ্রমণে এসেছিলেন ডরসি। সেখানে নারী সাংবাদিক, লেখক ও প্রচারণাকর্মীদের একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ওই সাংবাদিকই ডরসি’র ছবিটি রোববার টুইটারে পোস্ট করেন। এতে দেখা যায়, ডরসি ওই কথা লেখা পোস্টারটি ধরে আছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়েছেন অনেক ভারতীয়।   

মঙ্গলবার এক ইমেইলে টুইটারের এক মুখপাত্র রয়টার্স-কে বলেন, “এই পোস্টারে যে মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তা একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে টুইটার বা প্রধান নির্বাহী হিসেবে জ্যাক-এর দর্শন প্রকাশ করে না।” তিনি জানান, টুইটার একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক আয়োজন করেছে আরে সেখানে অংশ নেওয়া একজন নিম্নবর্ণের ‘দলিত’ নারী তার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। পুরো অনুষ্ঠান শেষে ওই নারী টুইটার প্রধানকে পোস্টারটি উপহার দেন। টুইটারের ওই মুখপাত্রের মতো একই রকম মন্তব্য এসেছে টুইটার ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকেও। 

ভারতীয় সফটওয়্যার জায়ান্ট ইনফোসিস-এর সাবেক অর্থ প্রধান টি.ভি. মহনদাস পাইসহ কয়েকজন খ্যাতিমান ভারতীয় এই ঘটনায় ডরসি ব্রাহ্মণদের “ঘৃণা প্রচার” করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। পাই এক টুইটে বলেন, “কাল যদি কোনো বৈঠকে জ্যাককে ইহুদিবিরোধী কোনো পোস্টার দেওয়া হয়, তার দল কি তাকে সেটি ধরে উঠাতে দেবে? এখানে ভিন্নতা কেন?” তিনি আরো যোগ করেন- যে কোনো সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক কিছু বলাই ভুল।

টুইটারের আইন, নীতিমালা, আস্থা ও নিরাপত্তা প্রধান ভিজায়া গাড্ডে ভারতে ডরসি’র সঙ্গী ছিলেন। সোমবার গাড্ডে বলেন, “আমি এটির জন্য খুবই দুঃখিত। এটি আমাদের দর্শনকে প্রকাশ করে না। আমরা আমাদের দেওয়া একটি উপহারের সঙ্গে একটি ‘প্রাইভেট’ ছবি তুলেছিলাম- আমাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিৎ ছিল।”





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar