ad720-90

বিশ্বের শীর্ষ ধনীকে নোংরা ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেল!


আমাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস।বিশ্বের শীর্ষ ধনী আমাজন ডটকমের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস মার্কিন ট্যাবলয়েড সাময়িকী ন্যাশনাল এনকোয়ারারের মালিকের বিরুদ্ধে ‘নোংরা ছবি’ ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ করেছেন।

বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বেজোস অভিযোগ করেছেন, ওই সাময়িকীর পরিচালনা প্রতিষ্ঠান (প্যারেন্ট কোম্পানি) আমেরিকান মিডিয়া ইনকরপোরেশন (এএমআই) তাঁকে একটি অনুসন্ধান বা তদন্ত করতে নিষেধ করেছে। ওই ট্যাবলয়েড পত্রিকা কীভাবে তার ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করেছে, সে বিষয়ে তদন্ত করতে চান তিনি।

গত মাসে বেজোস ও তাঁর স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি ছাড়াছাড়ির ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণার পরপরই ন্যাশনাল এনকোয়ারার বেজোসের পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এএমআইয়ের পক্ষ থেকে বিবিসিকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্লগ পোস্টে বেজোস একটি ই–মেইলের কথা উল্লেখ করেন। যাতে এএমআইয়ের প্রতিনিধির পক্ষ থেকে তাঁকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, বেজোস ও তাঁর প্রেমিকা সাবেক টিভি উপস্থাপিকা লরেন সানচেজের অন্তরঙ্গ ছবি প্রকাশ করা হবে।

ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার মালিক বেজোস বলেছেন, এএমআই তাঁর কাছ থেকে মিথ্যা বিবৃতি দাবি করে, ন্যাশনাল এনকোয়ারারে তাঁকে ও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।

ব্লগে বেজোসের পোস্ট করা ওই ই–মেইল অনুযায়ী, এএমআইয়ের এক আইনজীবী গত বুধবার বেজোসকে বিবৃতির বিনিময়ে ছবি প্রকাশ না করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

বেজোস লিখেছেন, তাদের হুমকি দেওয়া, ব্যক্তিগত মূল্য দেওয়া এবং বিব্রতকর অবস্থা সত্ত্বেও চাঁদাবাজি এবং ব্ল্যাকমেল আত্মসমর্পণ করার বদলে তারা আমাকে ঠিক কী পাঠিয়েছে তা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এর আগে অবশ্য বেজোস এএমআইয়ের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যোগসূত্র থাকার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন।

বেজোস বলেন, ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক হয়ে তিনি অনেক শক্তিশালী মানুষের শত্রু হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি এএমআইয়ের বস ডেভিড পেকারের বন্ধু।

এএমআই সম্প্রতি স্বীকার করেছে যে তারা ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় প্লেবয়ের এক মডেলকে দেড় লাখ ডলার দিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে না করেছিল।
আমাজনের প্রধান নির্বাহী বলেছেন, ব্যক্তিগত সম্মানহানি নিয়ে তিনি চিন্তিত থাকলেও এএমআইকে তাদের দীর্ঘদিনের সম্মানের বিষয়টিকে অস্ত্র না বানানোর আহ্বান জানান।

বেজোস লিখেছেন, তাদের দীর্ঘদিনের ব্ল্যাকমেল চর্চা, রাজনৈতিক পক্ষপাত, রাজনৈতিক আক্রমণ ও দুর্নীতিতে আমি অংশ নিতে চাই না। আমি এর বিরুদ্ধে দাঁড়াব। কী ঘটে আমিও দেখতে চাই।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ২৫ বছর সংসার করার পর ঘর ভাঙার দুঃসংবাদ জানান বিশ্বের শীর্ষ ধনী জেফ বেজোস। তখন থেকে এ বিচ্ছেদের পেছনে পরকীয়া-গোপন প্রেম নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়। আর তা উসকে দেয় ন্যাশনাল এনকোয়ারার।

ওই সময় যুক্তরাজ্যের মিরর অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিচ্ছেদের ঘোষণা আসার পর জেফ বেজোসের গোপন সম্পর্কের কথা জানাজানি হয়ে গেছে। সাবেক এক টিভি উপস্থাপিকার সঙ্গে গোপন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন বেজোস। লরা হলিউডে ট্যালেন্ট মুঘলখ্যাত প্যাট্রিক হুইটসেলের স্ত্রী। হুইটসেল ম্যাট ড্যামন, ক্রিশ্চিয়ান বেলের মতো হলিউড তারকার এজেন্ট।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী বেজোসের বর্তমানে বয়স ৫৪ বছর এবং ম্যাকেনজির বয়স ৪৮। নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে (১৯৯৩) হেজ ফান্ড ডি ইতে কাজ করার সময়ই তাঁদের পরিচয় হয়। এরপর বিয়ে করেন তাঁরা। এরপর তাঁরা সিয়াটলে বসবাস শুরু করেন এবং প্রতিষ্ঠা করেন বহুজাতিভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি-বিষয়ক ই-কমার্স সাইট আমাজন।

ব্লুমবার্গের কোটিপতি সূচক অনুসারে, ৫৪ বছর বয়সের জেফ বেজোসের এখন সম্পদের পরিমাণ ১৩৭ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন:





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar