ad720-90

ডিজিটাল বিপণনে কাজের সম্ভাবনা


ডিজিটাল মাধ্যমে নিজের পণ্যের বিপণনও করা যায়। মডেল: জেসিকা, ছবি: স্মার্ট সময়এ যুগে চাকরির জন্য দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা শিক্ষাজীবনেই অর্জন করা যায়। ডিজিটাল বিপণন তেমনই এক কাজ, যা ছাত্রজীবনেই শুরু করা যায়।
কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা একটি স্মার্টফোনও যদি কারও থাকে, তবে নিশ্চিত তিনি ডিজিটাল দুনিয়ায় অভ্যস্ত। চাইলেই করতে পারেন ডিজিটাল বিপণনের কাজ, যা ভবিষ্যতে তাঁর পেশা গড়ে দিতে সহায়ক হতে পারে।
তথ্যপ্রযুক্তি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ আইটির হেড অব ডিজিটাল মার্কেটিং ফৌজিয়া কাওয়াল বলেন, ‘ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে পেশাগত সম্ভাবনা বিপুল। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চাহিদা রয়েছে যথেষ্ট কিন্তু যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল নেই। তাই এই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে নিজেকে একজন সফল উদ্যোক্তা বানানো যায়। আবার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়া সম্ভব।’

ডিজিটাল বিপণন কী
ডিজিটাল বিপণন বা মার্কেটিং বলতে বোঝাচ্ছে ইন্টারনেটের বিশাল জগৎ ব্যবহার করে পণ্য, সেবা বা কোনো ব্র্যান্ডের প্রচারণা চালানো। ডিজিটাল বিপণনকারীরা প্রচারের কাজে যে মাধ্যমগুলো ব্যবহার করছেন, সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ই-মেইল বিজ্ঞাপন, বিজনেস নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন লিঙ্কড–ইন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, কমিউনিটি ব্লগ, ওয়েব পেজ, পেইড অ্যাড, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টিং, মোবাইল বার্তা ইত্যাদি।

কেন জনপ্রিয়
ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রসারের সঙ্গে সঙ্গে যেন ডিজিটাল বিপণনের চাহিদাও বেড়ে চলেছে। দিন দিন অনলাইন বিপণন জনপ্রিয় হয়ে ওঠার কারণগুলো হচ্ছে, প্রচলিত বিপণনপদ্ধতির তুলনায় এতে খরচ কম হয়, সম্ভাব্য ও আগ্রহী ক্রেতাকে সরাসরি খুঁজে পাওয়া যায়, ক্রেতার বিশ্বাস অর্জন করা সহজ, ব্র্যান্ড মূল্য ও রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বেশি, সহজেই গ্রাহকের চাহিদা অনুসরণ করা যায়, তাৎক্ষণিক ফল জানা যায়, সহজেই সুনির্দিষ্ট ক্রেতার কাছে পৌঁছানো যায়।
ডিজিটাল বিপণন নিয়ে আয় ও কাজের ক্ষেত্র বেশ বড়। চাইলে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে অভিজ্ঞ হয়ে ডিজিটাল বিপণনে পেশা গড়া সম্ভব। এমন তিনটি বিষয় তুলে ধরা হলো।

সার্চ ইঞ্জিন বিপণন
(গুগল ব্যবহার করে)
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং হচ্ছে বিপণনপদ্ধতি ও কৌশলের সমন্বয়, যা ব্যক্তি বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের অনলাইন বিজ্ঞাপনকে গুগলের শীর্ষে নিয়ে আসে। যে দুটি প্রক্রিয়ায় কাজটি করা হয়, তার একটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এবং অন্যটি পেইড সার্চ অ্যাড বা পিপিসি (পে-পার-ক্লিক)।

সোশ্যাল মিডিয়া বিপণন
সামাজিক ব্যবসা–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে থাকেন। কারণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিন্ন ভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করেই পণ্য
বা সেবার প্রচারণা চালানো হয়। ফ্যান-ফলোয়ার, গ্রুপ, কমিউনিটিকে লক্ষ্য করেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো যায়। গ্রাহককে নতুন সেবা বা সুবিধার কথা জানানোর পাশাপাশি প্রতিদ্বন্দ্বী পণ্যের বিশ্লেষণ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাড, প্রচারণা কৌশল—সবই করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কেন্দ্র করে। এতে ন্যূনতম খরচে সর্বোচ্চ টার্গেটেড মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব। তাই ডিজিটাল বিপণনকারীদের পছন্দের শীর্ষে অবস্থান করছে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমভেদে ভিন্ন ভিন্ন কৌশল অনুসরণ করা হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো হচ্ছে ফেসবুক, ইউটিউব, লিঙ্কডইন ইত্যাদি।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একটি অনলাইন বিক্রয় কৌশল, যার মাধ্যমে পণ্য বা সেবার মালিক তার পণ্যকে নিজের ওয়েবসাইট বা ই-কমার্স সাইটে দেখায়। সেই পণ্য যদি অন্য কোনো সহযোগী তার নির্ধারিত চ্যানেলের মাধ্যমে বিক্রি করে বা প্রচার করে এবং সেই পণ্যটি যদি বিক্রি হয়, তবে যার মাধ্যমে পণ্যটি বিক্রি হলো, সে নির্ধারিত কমিশন পেয়ে থাকে। বিশ্বে অনেক প্রতিষ্ঠানই রয়েছে, যারা অ্যাফিলিয়েট সুবিধা দিয়ে থাকে, যার মধ্যে ক্লিক ব্যাংক ও আমাজন অ্যাফিলিয়েট সবচেয়ে জনপ্রিয়।

কাদের জন্য ডিজিটাল বিপণন
যাঁরা ব্যবসায় শিক্ষা, ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ে পড়াশোনা করছেন, তাঁদের জন্য আকর্ষণীয় পেশা হতে পারে ডিজিটাল মার্কেটিং। চাইলেই যে কেউ এ কাজে ঘোরাতে পারেন নিজের ভাগ্যের চাকা। হতে পারেন আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী। শিক্ষাজীবনেই অর্জন করতে পারেন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা। আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে নিজেকে যুক্ত করতে পারে ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশায়। করতে
পারে আউটসোর্সিং। এ ছাড়া নিজ দক্ষতায় পেতে পারে দেশীয়
স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে ভালো বেতনের চাকরি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar