ad720-90

সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সাত ধরনের বাদাম


বাদাম শরীরের জন্য খুবই পুষ্টিকর। এতে থাকা প্রচুর প্রোটিন, ভিটামিন, পুষ্টি উপাদান আমাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। মস্তিষ্কের জন্য ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বাদাম বেশ উপকারি।  রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখা ও হাড় মজবুত করতেও এটি সহায়ক।

আসুন জেনে নেই:

* আখরোট : ওয়ালনাট বা আখরোট হলো বাদাম প্রজাতির অন্যতম জনপ্রিয় খাবার। এতে ভিটামিন সি, বি, ই, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস ও পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আছে। আখরোট মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়, হজমে সহায়তা করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ অ্যাভিটামিনোসিস দূর করে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গেছে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ও কয়েক ধরনের ক্যানসার রোধে সহায়তা করে আখরোট।

* চীনা বাদাম : পি নাট বা চীনা বাদামে আছে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন এ, ডি, বি, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও পুষ্টি উপাদান। এতে ম্যাগনেসিয়াম প্রচুর থাকায় তা হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। এতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ভালো স্বাস্থ্য ও ভালো মুড বজায় রাখে।

* হ্যাজেল নাট : মূলত তুরস্ক ও ইতালিতে বেশি উৎপাদন হওয়া বাদাম হ্যাজেল নাট মিনারেল, ভিটামিন ই এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটের উৎস বলা হয়। এতে কার্বোইড্রেটও আছে বেশ। হৃদযন্ত্রকে রক্ষা করতে ও কোলেস্টেরল কমাতে এই বাদাম ভালো ভূমিকা রাখে।

* কাঠ বাদাম : আমন্ড বা কাঠ বাদামে আছে প্রচুর ভিটামিন ই ও ম্যাগনেসিয়াম। তাই এটি চুল, ত্বক ও নখ ভালো রাখে। এছাড়া এটি বিপাক প্রক্রিয়া সচল রাখে ও ব্লাড সুগার স্বাভাবিক করে। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ডাযাবেটিস হওয়ার আগে কাঠ বাদাম ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখে।

* কাজু বাদাম : কাজু বাদামে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন এ, আয়রন, জিংক, ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম আছে অনেক। এটি কোলেস্টেরল কমায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এছাড়া প্রজনন ক্ষমতা বাড়ায় ও দাঁতের এনামেল মজবুত রাখে।

* পাইন নাট : মূলত ইউরোপে পাইন গাছ থেকে পাওয়া এই বাদামে ভিটামিন ই, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যামাইনো অ্যাসিড বেশি থাকায় তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি সহজে হজম হয়,তাই শিশু ও প্রেগন্যান্ট নারীদের এই বাদাম খেতে পরামর্শ দেয়া হয়। মস্তিষ্কের সমস্যা, চুল ও ত্বকের সমস্যা নিরসনেও এই বাদাম উপকারি।

* পেস্তা বাদাম : পেস্তা বাদামে অন্য সব বাদামের চেয়ে বেশি ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও মিনারেল আছে। এতে থাকা কপার, ম্যাগেনেসিয়াম, ফসফরাস দৃষ্টিশক্তির সমস্যা ও হাড়ের সমস্যা দূর করে।

সতর্কতা
পুষ্টিবিদরা বলেন, যেহেতু বাদাম একটি পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার, তাই এটি পরিমিত খাওয়া উচিৎ। বাদাম প্রতিদিন ৫০ থেকে ১০০ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিৎ না।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar