ad720-90

লিঙ্গ নিরপেক্ষ কণ্ঠস্বর বানালেন বিজ্ঞানীরা


অ্যাপলের সিরি থেকে শুরু করে অ্যামাজনের অ্যালেক্সা পর্যন্ত সব এআই অ্যাসিস্টেন্ট সেবাতেই ব্যবহার করা হয় ডিজিটাল কণ্ঠস্বর। নারী বা পুরুষ কণ্ঠস্বরের ব্যবহার দেখা যায় এতে। এবার প্রথমবারের মতো এমন কণ্ঠস্বর দেখা যেতে পারে ভয়েস অ্যাসিস্টেন্ট সেবাগুলোতে যা শুনতে নারী বা পুরুষের কণ্ঠ শোনার অনুভূতি দেবে না।

ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘লিঙ্গহীন’ এই কণ্ঠস্বরের নাম দেওয়া হয়েছে ‘কিউ’। কণ্ঠস্বর প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতেই আনা হয়েছে এটি। স্মার্ট অ্যাসিস্টেন্ট সেবাগুলোতেও এই কণ্ঠস্বর যোগ করার কথা বলছেন নির্মাতারা।

এই প্রকল্প দলের সদস্য জুলি কারপেন্টার বলেন, “লিঙ্গভিত্তিক প্রযুক্তি বানানো, বাছাই এবং মানুষ কীভাবে বিশ্বাসযোগ্যতা, বুদ্ধিদীপ্ততা এবং নির্ভরযোগ্যতার বিষয়গুলো মেনে নিচ্ছেন-  এসবকিছুর মূলে রয়েছে সাংস্কৃতিক বৈষম্য। কিউ এবার এই বৈশ্বিক আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।”

“সত্যিকারের উদ্ভাবনের এক ধাপ এগিয়ে কিউ, কারণ এ ধরনের আস্থা ব্যবস্থার জটিল পরীক্ষা নিচ্ছে এটি,” যোগ করেন কারপেন্টার।

নতুন এই কণ্ঠস্বর বানাতে পাঁচ জনের কণ্ঠ রেকর্ড করা হয়েছে, যাদের কণ্ঠস্বর নারী বা পুরুষের মধ্যে পড়ে না। এরপর ‘ভয়েস মডিউলেশন’ সফটওয়্যারের মাধ্যমে এই কণ্ঠগুলোকে লিঙ্গ নিরপেক্ষ রেঞ্জের মধ্যে নেওয়া হয়েছে।

পরিবর্তিত এই কণ্ঠস্বর ৪৬০০ জন ব্যক্তির মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় এটি পুরুষ নাকি নারীর কণ্ঠস্বর। জবাবের ভিত্তিতে কণ্ঠস্বর আরও পরিবর্তন করে নিখুঁত লিঙ্গহীন কণ্ঠস্বর বাছাই করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

কিউয়ের কণ্ঠস্বরের ওপর এখন এআই ফ্রেইমওয়ার্ক বানানোর প্রয়াশ করছেন গবেষকরা, যাতে ভবিষ্যতে এটি পুরোপুরি কার্যকর ভয়েস অ্যাসিস্টেন্ট বানানো যায়।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar