ad720-90

রোবোটিকসের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে বুয়েটে গোলটেবিল বৈঠক


সারা বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দিকে, যেখানে মানুষের কর্মসংস্থানের বড় একটি অংশ দখল করে নেবে রোবট। রোবোটিকস একই সঙ্গে যেমন চ্যালেঞ্জ, তেমনি সম্ভাবনাও বটে। বাংলাদেশ কতটা প্রস্তুত আগামীর এই সম্ভাবনার সুযোগ নিতে? এসব নিয়েই সোমবার এক গোলটেবিল বৈঠক হয়ে গেল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট)।

জিপিএস ইস্পাত ‘এসো রোবট বানাই’ রোড শো’এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, চ্যানেল আইয়ের পরিচালক (বার্তা) শাইখ সিরাজ, জিপিএস ইস্পাতের নির্বাহী পরিচালক (প্ল্যান্ট) মাদানী এম. ইমতিয়াজ হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (এফ অ্যান্ড বি. ডি) কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘সারা বিশ্বের রোবট শিল্পের একটা বড় অংশ এশিয়াতে উৎপাদন হয়। তবে এখানে বাংলাদেশের কোনো অবস্থান নেই। আমাদের এই অবস্থানটা তৈরি করতে হবে। আমাদের দেখতে হবে রোবটের বাজার চাহিদা কী, সেইখানে আমাদের কাজ করতে হবে।’

প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রকৌশলীরা যদি তাদের উদ্ভাবিত পণ্য বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করতে চান তবে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।

জিপিএস ইস্পাতের নির্বাহী পরিচালক (প্ল্যান্ট) মাদানী এম. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, ‘প্রকৌশলীদের শুধু বিজ্ঞান জানলে হবে না, অর্থনীতি এবং সমাজবিজ্ঞানের বিষয়গুলোতেও দক্ষ হতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে যন্ত্রপ্রকৌশলে এখনো বিরাট ঘাটতি আছে। ‘এসো রোবট বানাই’-এর মতো রোবোটিকস প্রতিযোগিতা এই ঘাটতি পূরণ করবে।’

জিপিএস ইস্পাতের আরেক নির্বাহী পরিচালক (এফ অ্যান্ড বি. ডি) কামরুল ইসলাম আশা প্রকাশ করেন, দেশে বড় ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম হলে এখানে রোবটের অনুলিপি তৈরি না করে নতুন ধরনের রোবটের ডিজাইন করা সম্ভব হবে।

বুয়েট, সিআরআইডি ইউএসএ, জিপিএস ইস্পাত, চ্যানেল আই ও প্রথম আলোর সার্বিক সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এ গোল বৈঠকে এসো রোবট বানাই’-এর প্রতিযোগী ও বিশেষজ্ঞরা অংশগ্রহণ করেন। তারা রোবোটিকস গবেষণায় বাংলাদেশের নানা সীমাবদ্ধতা এবং নীতিমালা সুপারিশ করেন।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar