ad720-90

লাইভ স্ট্রিমিংয়ে নিয়ন্ত্রণ আনছে ফেসবুক


ফেসবুক লাইভ স্ট্রিম।নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ হামলা ও তা সরাসরি ফেসবুকে সম্প্রচারের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে ফেসবুক। অনেকেই ফেসবুকের লাইভ স্ট্রিমিং বা সরাসরি সম্প্রচার সেবা নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি করেছেন। ফেসবুক কর্তৃপক্ষও তাই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। তারা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে কঠোর হচ্ছে এবং বেশ কিছু নিয়ম জারি করেছে।

যাঁরা ফেসবুকে লাইভ স্ট্রিমিং করার সময় নিয়ম ভাঙেন এবং এ বিষয়ে অভিযুক্ত হন, পরবর্তী সময়ে তাঁদের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা আসবে। এ ছাড়া কে লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবে, সে বিষয়েও নিয়ন্ত্রণ করবে ফেসবুক।

গতকাল শুক্রবার ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শেরিল স্যান্ডবার্গ এক ব্লগ পোস্টে বলেন, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড বা কমিউনিটির নীতিমালার ওপর ভিত্তি করে কে লাইভ স্ট্রিমিং করতে পারবে, তা নিয়ে বিধিনিষেধের বিষয়টি ঠিক করা হচ্ছে।

ফেসবুকের নীতিমালা অনুযায়ী, তাদের প্ল্যাটফর্মে সন্ত্রাসী কার্যক্রম সমর্থন করা হয় না। তবে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে ঘৃণিত বক্তব্য ঠেকানোর বিষয়ে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর আগে ফেসবুকের লাইভ স্ট্রিম ফিচার ব্যবহার করে আত্মহত্যা, খুন ও সহিংসতা ছড়ানোর মতো কাজ করা হয়েছে।

তবে ফেসবুক লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সবচেয়ে কুৎসিত দিকটি ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলার সময় সবার সামনে আসে। এক শ্বেতাঙ্গ বন্দুকধারী গুলি করে ৫০ জনকে হত্যার ঘটনা সরাসরি সম্প্রচার করে। ফেসবুক ওই ভিডিও সরিয়ে ফেলার আগেই তা ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যায়।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, ওই ঘটনার পর ৯০০ ধরনের ভিডিও ছড়িয়েছে।

শেরিল স্যান্ডবার্গ বলেছেন, তাঁরা প্রযুক্তিগত উন্নতির চেষ্টা করছেন, যাতে সম্পাদনা করা ভিডিওগুলো সহজে ধরা যায়। এ ছাড়া সহিংস ঘটনাগুলো ছড়িয়ে পড়া ও আবার শেয়ার ঠেকানোর প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছেন তাঁরা। ফেসবুকের ২৩২ কোটি ব্যবহারকারীর কাছে সহিংস কনটেন্ট পৌঁছানো ঠেকাতে ব্যবহারকারীর ফ্ল্যাগ দেখানোর ওপর নির্ভর করে। এখন ফ্ল্যাগ দেখানোর পর্যালোচনার প্রক্রিয়া উন্নত করা হয়েছে। এতে দ্রুত সাড়া পাওয়া যাবে।

স্যান্ডবার্গ বলেন, নিউজিল্যান্ডের সহিংস ঘটনাটি মূলত মানুষের বেশি শেয়ার করা। এর সম্পাদনা করা সংস্করণের কারণে ফেসবুকের সিস্টেমের জন্য ধরা কঠিন হয়ে যায়।

ফেসবুক ঘৃণিত বক্তব্য ছড়ানো ঠেকাতে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar