ad720-90

মাত্র ১৪ বছর বয়সে ভিডিয়ো গেম খেলে বছরে আয় ২ লক্ষ মার্কিন ডলার!


ইদানীং বাড়ির কিশোর-কিশোরীদের ভিডিয়ো গেমের প্রতি আশক্তি এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে, তা অভিভাবকদের কাছে রীতিমতো দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনে-দুপুরে, রাতে— যখনই সুযোগ পাচ্ছে, শুরু হয়ে যাচ্ছে ভিডিয়ো গেম। নিজের মোবাইল থাকলে তো কথাই নেই, না থাকলে বাড়ির কারও স্মার্টফোন নাগালের কাছে পেলেই শুরু হয়ে যাচ্ছে ভিডিয়ো গেম!

আগে পড়াশুনার চাপে মাঠমুখী হওয়ার সুযোগ না পাওয়া কচিকাঁচার দল এখন সুযোগ পেলেও মাঠের দিকে পা বাড়াচ্ছে না। ব্যাট, বল নিয়ে খেলতে যাচ্ছে না। সারাক্ষণ স্মার্টফোনে মুখ গুঁজে পড়ে রয়েছে ভিডিয়ো গেমের টানে। পরীক্ষার ফলাফল কী হবে, খারাপ ‘রেজাল্ট’ হলে ভবিষ্যতের কী হবে— এ সব নিয়ে না ভেবে কচিকাঁচার দল এখন অফ লাইন বা অনলাইন ভিডিয়ো গেমে ব্যস্ত। অনলাইন ভিডিয়ো গেমে কী ভাবে দল গড়ে সাফল্য পাওয়া যায়, কী ভাবে মোটা টাকা পুরস্কার জেতা যায়— তা নিয়েই মাথা ঘামাতে ব্যস্ত! এমনই এক বছর চোদ্দর কিশোরের শুধু ভিডিয়ো গেম থেকেই আয় হয়েছে প্রায় দেড় কোটি টাকা! বিশ্বাস হচ্ছে না? এমনটাই বলা হয়েছে ‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে।

‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এ প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিশোরের নাম গ্রিফিন স্পাইকোস্কি। জানা গিয়েছে, ১৪ বছর বয়সী এই মার্কিন কিশোর দিনে প্রায় ১৮ ঘণ্টা সময় অনলাইন ভিডিয়ো গেমে ব্যয় করে। এ ছাড়াও, অনলাইন গেমের ভিডিয়ো করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিত পোস্ট করে সে। গ্রিফিনের ইউটিউব চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা ১২ লক্ষেরও (১.২ মিলিয়ন) বেশি আর মোট ভিউ-এর সংখ্যা ৭ কোটি ১০ লক্ষেরও (৭১ মিলিয়ন) বেশি। নিজের ইউটিউব চ্যানেল আর অনলাইন গেমের পুরস্কার মূল্য মিলিয়ে ২০১৮ সালে গ্রিফিনের মোট আয় ২ লক্ষ মার্কিন ডলার।

সম্প্রতি ইউটিউবে একটি সাক্ষাত্কারে গ্রিফিনের মা ক্যাথলিন কনলি জানান, ছেলের এই সাফল্য তাঁকে অবাক করে দিয়েছে। তিনি বুঝে গিয়েছেন, অনলাইন গেমের দুনিয়ায় গ্রিফিন আরও উন্নতি করবে। জানা গিয়েছে, গ্রিফিনের এই বিপুল অর্থ উপার্জনের চাপে সম্প্রতি একজন আর্থিক উপদেষ্টা নিয়োগ করতে হয়েছে। গ্রিফিনের মতো অনেকেই অর্থ উপার্জনের বিকল্প পথ হিসাবে বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন অনলাইন গেমিং প্লাটফর্ম। তবে অনলাইন গেমের প্রতি লক্ষ্যহীন অংশগ্রহণ, মাত্রাতিরিক্ত আসক্তি আমাদের চিন্তাশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অসংখ্য মনরোগ বিশেষজ্ঞ ও চিকিত্সক।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar