ad720-90

দ্রুত ছড়াচ্ছে ক্যান্ডিডা


শক্তিশালী অনুবীক্ষণ ছাড়া তাকে খুঁজে পাওয়াও মুশকিল। তার নামও অতীতে শোনা যায়নি। আপাতত তাঁকে ঘিরেই তোলপাড় সারা বিশ্বের চিকিৎসকমহলে। কেননা, এই নয়া জীবাণু শরীরে বাসা বাঁধলে কোনও নিদান জানা নেই খোদ চিকিৎসকেরও।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ক্যান্ডিডা অরিস নামক এক ধরনের ছত্রাক সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্ব জুড়ে। আফ্রিকা মহাদেশের কেনিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইউরোপের ব্রিটেন, ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি বা মার্কিন প্রদেশের ইউএস, কানাডা ভেনেজুয়েলা তো রয়েছেই। এই মারণ সংক্রমণ প্রবেশ করেছে এশিয়াতেও।

জানা যাচ্ছে, ২০০৯ সালে জাপানে এক রোগীর শরীরে এই প্রাণঘাতী সংক্রমণ ধরা পড়ে। তার পর থেকেই চুপিসারে ছড়িয়ে পড়ছে এই রোগ। শুধু মাত্র আমেরিকায় এই পর্যন্ত ৫৮৭ জন রোগীর শরীরে এই রোগকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সংক্রমণ আর পাঁচটা সংক্রমণের তুলনায় অনেকটাই আলাদা কেননা ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর হয় না। দুই বা তার বেশি অ্যান্টিফাংগাল ওষুধ প্রয়োগ করেও ৩০ শতাংশ ক্ষেত্রে কোনও ফল পাওয়া যাচ্ছে না।

ক্যান্ডিডা অরিস-এর উপসর্গ

এই মারণ সংক্রমণের প্রাথমিক উপসর্গগুলি হল জ্বর, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি। কিন্তু একজন ব্যক্তি সংক্রমিত হয়ে গেলে এই উপসর্গগুলিই মারাত্মক আকার নিতে পারে।

ক্যান্ডিডা আক্রান্তের প্রাণের মেয়াদ

সম্প্রতি নিউইয়র্কের সিনাই ভ্যালিতে একজন সংক্রমিত ব্যক্তি ৯০ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে পরাস্ত হন। চিকিৎসকরা তাই ৯০ দিনকেই চূড়ান্ত সময় বলে গণ্য করছেন।

সব থেকে ভয়ের কথা, মার্কিন দেশেও চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরা রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে স্বতস্ফূর্ত ভাবে রোগীর কাছে যেতে চাইছেন না।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar