প্রথম ফ্লাইটে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্লেন
প্রযুক্তি সাইট ভার্জের প্রতিবেদনে বলা হয়, এই প্লেনটির সাহায্যে আকাশ থেকে কক্ষপথে রকেট পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে স্ট্র্যাটোলঞ্চের। প্রথম পরীক্ষায় দেড়শ’ মিনিট আকাশে ওড়ার পর সফলভাবে ল্যান্ড করেছে প্লেনটি।
৩৫ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে পারবে এমনভাবেই নকশা করা হয়েছে প্লেনটি। এই উচ্চতা থেকে প্লেনটি থেকে রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইঞ্জিন বুস্টারের সাহায্যে কক্ষপথে পৌঁছাবে।
প্রথম উড্ডয়ন পরীক্ষায় প্লেনটিতে কোনো রকেট ছিল না। অবশ্য ইতোমধ্যেই প্রথম গ্রাহকের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে নর্থরপ গ্রুমান-এর পেগাসাস এক্সএল রকেট মহাকাশে পাঠাবে স্ট্র্যাটোলঞ্চ।
স্ট্র্যাটোলঞ্চ প্রধান জিন ফ্লয়েড বলেন, “এই জাদুকরী প্লেনটির আকাশে উড়তে দেখা ব্যক্তিগতভাবে আমার জন্য একটি আবেগি মুহুর্ত ছিল।” প্রত্যাশামতোই প্লেনটি ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৭৫ মাইল বেগে উড়তে পেরেছে।
“ফ্লাইটটি অনেক মসৃণ ছিল, আপনি প্রথম ফ্লাইটে একদম যেটা আশা করেন,” বলেন পাইলট ইভান টমাস।
ফ্লাইটের প্রথম পর্যায়ে এটি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ হয় তা পরীক্ষা করা হয়েছে। “এটি প্রায় তেমনটাই উড়েছে আমরা যেমনটা সিমুলেট করেছি এবং ধারণা করেছি,” যোগ করেন থমাস।
৫০ জন কর্মী ছাঁটাই এবং নিজস্ব রকেট তৈরির প্রকল্প বাতিল করার তিন মাস পরই প্লেনটির পরীক্ষা করলো স্ট্র্যাটোলঞ্চ। মূলত একটি মহাকাশপ্লেনসহ পুরো রকেট রকেট সিরিজ বানানোর লক্ষ্য ছিল প্রতিষ্ঠানটির। মাইক্রোসফট সহ-প্রতিষ্ঠাতা পল অ্যালেনের মৃত্যুর পরই পরিকল্পনা বদলায় তারা। ২০১১ সালে স্ট্র্যাটোলঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অ্যালেন।
শনিবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উঠে এসেছে অ্যালেনের নাম। ফ্লয়েড বলেন, “তার এয়ারক্রাফট উড়তে দেখে তিনি দারুণ গর্বিত হতেন। যদিও আজ তিনি এখানে ছিলেন না, আমি তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।”
Comments
So empty here ... leave a comment!