ad720-90

৭৪৫ টাকার টিকিটে ২২০০ টাকা কেটে নিলেও, মেলেনি টিকিট!


লাস্টনিউজবিডি,১৭ মে: টাকা পরিশোধ করার পরও টিকেট না পাওয়া, অতিরিক্ত অর্থ কেটে নেয়া কিংবা কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকেটের পরিবর্তে অন্যদিনের টিকেট দেয়ার মতো অভিযোগ পাওয়া গেছে ‘রেলসেবা’ অ্যাপ ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে।

পর্যাপ্ত সময় না দেয়ায় অ্যাপটি উপযুক্তভাবে তৈরি করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান সিএনএস। এই অ্যাপের মাধ্যমে ঈদ টিকেটের ৫০ শতাংশ বিক্রি সম্ভব নয় জানিয়ে টিকেট কালোবাজারির আশঙ্কা প্রযুক্তিবিদদের। ঈদের আগাম টিকেট বিক্রি শুরুর আগেই অ্যাপটি কার্যকর করার আশা মন্ত্রণালয়ের।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য সদ্য চালু হওয়া ‘রেলসেবা’ অ্যাপের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহের চেষ্টা করেন এক যাত্রী। পর পর তিন বার টিকেট কিনতে ব্যর্থ হলেও প্রতিবারই টিকেটের দাম কেটে নেয়া হয় তার কাছে। এভাবে ৭৪৫ টাকার টিকেটে ২ হাজার ২০০ টাকা কেটে নিলেও, মেলেনি টিকেট। টাকা ফেরত পাওয়া নিয়েও শঙ্কা তার।

এই যাত্রীর মতো ভোগান্তির অভিজ্ঞতা অ্যাপ ব্যবহারকারী আরও অনেকের। ট্রেন চলে যাওয়ার পর টিকিট প্রাপ্তি, চাহিদার দু-তিন দিন পরের টিকেট সরবরাহ করার অভিযোগ যাত্রীদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিকেট পাওয়া তো দূরের কথা অ্যাপে প্রবেশ করাই যেন বড় চ্যালেঞ্জ।

এক যাত্রী বলেন, ভেরিফিকেশন কোডটা না হলে তো অ্যাপটা ওপেনই হবে না। সেই ভেরিফিকেশন কোডটা আমার মোবাইলে আসছেই না। অ্যাপে ঢুকতেই পারছি না।

আরেক যাত্রী জানান, দ্রুতযানের টিকেটের সাথে একতা এক্সপ্রেসের টিকেটও কাটা হয়ে যাচ্ছে। আমার লাগবে একটা, কাটা হয়ে যাচ্ছে দুইটা।

আরেকজন জানান, তিনি ৪ তারিখের টিকেট চাইলেও তাকে দেয়া হয়েছে ৫ তারিখের টিকেট। আরেক যাত্রী জানান, ইনস্টল করে কাজ না হওয়ায় ডিলিট করে দিয়েছেন অ্যাপটি।

ঈদ উপলক্ষ্যে দিনে ২৭ হাজার আগাম টিকেট বিক্রির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে রেলওয়ে, যার প্রায় ১৪ হাজারই বিক্রি হবে নতুন এই অ্যাপের মাধ্যমে।

রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছিলেন, মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে যাত্রীরা টিকেট সংগ্রহ করতে পারবে। তারা ঘরে বসেই সে সেবা তারা নিতে পারবেন।

তবে ‘রেলসেবা’ অ্যাপকে নিম্নমানের আখ্যা দিয়ে এর মাধ্যমে ঈদ টিকেট বিক্রি সম্ভব নয় বলে মন্তব্য প্রযুক্তিবিদদের। মন্ত্রণালয়ের তাড়াহুড়োর কারণে, অ্যাপ বানাতে পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ার অযুহাত নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার নেটওয়ার্ক লিমিটেডের (সিএনএস)।

এই অ্যাপটির কোনো ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্টই নেই বলে জানিয়ে আই পে-এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জাকারিয়া স্বপন বলেন, মানুষ এখনই এটা ব্যবহার করতে পারছে না, ঈদে ৫০ শতাংশ টিকেট কিভাবে বিক্রি করবে। দেখা যাবে এর মাধ্যমে আরও বেশি কালোবাজারি হচ্ছে।

সিএনএস-এর পরিচালক ইকরাম ইকবাল টেলিফোনে জানান, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিদ্ধান্ত ছিল ২৮ তারিখে এই অ্যাপটা উদ্বোধন করা। তাড়াহুড়া করে একটা অ্যাপ বানানো হয়েছে, এটাও ঠিক। আমি শুধু এটুকু বলবো, সময় পেলে আরও ভালো হতো। আমরা যে কারিগরী কাজগুলো করেছি তা খুব দ্রুত করতে হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আমরাও এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে এগিয়েছি।

রেলসচিব মোফাজ্জেল হোসেন বলেছেন, অ্যাপ যারা পরিচালনা করছে, তাদের টেকনিক্যাল পারসন যারা আছে উনাদের সাথে বসবো, যত দ্রুত এটাকে স্টেবল করা যায়, ঈদের আগেই সেটা করবো।

কাঙ্খিত সময়ের মধ্যে অ্যাপের বরাদ্দকৃত টিকেট বিক্রি না হলে, বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে তা উন্মুক্ত কাউন্টারে বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী। সূত্র- সময় টিভি।

লাস্টনিউজবিডি/আনিছ

সর্বশেষ সংবাদ



সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar