ad720-90

কৃষ্ণগহ্বরের আরও কাছে


বিজ্ঞান চিন্তা‘কৃষ্ণগহ্বর অত কালো নয়’, সদ্যপ্রয়াত বিজ্ঞানী স্টিফেন কেন বলেছিলেন এ কথা? কারণ কৃষ্ণগহ্বরের অদ্ভুত চরিত্র। এর মহাকর্ষ বল এতটাই শক্তিশালী, এর ভেতরে একবার কোনো কিছু পড়লে তার আর সাধ্যি নেই সেখান থেকে ফিরে আসে। এমনকি ভরহীন এবং সবচেয়ে দ্রুতগামী বস্তু আলোও রেহাই পায় না কৃষ্ণগহ্বরের মরণফাঁদ থেকে। তাহলে কৃষ্ণগহ্বর আমরা দেখব কী করে?

সেই পথ বাতলাতে গিয়েই বস্তুটাকে দেখতে পাওয়ার একটি উপায় বের করেছিলেন স্টিফেন হকিং। কিন্তু হকিংয়ের সেই তত্ত্ব গণিত আর খাতা-কলমেই ঘুমিয়ে আছে, বাস্তব প্রমাণ আজও মেলেনি। এত দিন কৃষ্ণগহ্বরের নানা পরোক্ষ প্রমাণ ছিল। কিন্তু সত্যিকার কৃষ্ণগহ্বর কেমন সেটা জানতে গেলে তার একটা ছবি তোলা দরকার হয়। সেই কাজটিই বিজ্ঞানীরা করে উঠতে পারেননি এত দিন। তার জন্য আফসোসও ছিল বৈজ্ঞানিক মহলে। গত ১০ এপ্রিল সে আক্ষেপের অবসান ঘটে। বিজ্ঞানীরা প্রকাশ করেন কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি। ছবিটি তুলেছে নাসা ও এসার যৌথ প্রকল্প ইভেন্ট হরাইজনের আটটি দানবাকার টেলিস্কোপ। হকিংয়ের দেখানো পথে নয়, আধুনিক প্রযুক্তি আর কম্পিউটার ব্যবহারে ছবিটি তুলেছেন বিজ্ঞানীরা।

কৃষ্ণগহ্বরের এই ছবি কীভাবে তোলা হলো, কৃষ্ণগহ্বরের অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ, ইতিহাস, তত্ত্ব ও ব্যাখ্যা নিয়ে এ সংখ্যায় লিখেছেন স্টিফেন হকিংয়ের প্রাক্তন ছাত্র কানাডার পেরিমিটার ইনস্টিটিউটের গবেষক তীব্র আলী ও নাসার সাবেক বিজ্ঞানী দীপেন ভট্টাচার্য।

কৃষ্ণগহ্বর ছাড়াও বিজ্ঞানচিন্তার চলতি সংখ্যায় থাকছে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, মহাকাশ, কল্পবিজ্ঞান, কমিক, বিজ্ঞানরম্য, ছড়া, প্রজেক্টসহ নিয়মিত সব আয়োজন। সংখ্যাটি পাওয়া যাচ্ছে রাজধানীসহ দেশের সব জেলা-উপজেলা শহরের পত্রিকা বিক্রয়কেন্দ্রে। সম্পূর্ণ রঙিন কাগজে ছাপা ম্যাগাজিনটির দাম ৫০ টাকা।

মাসিক বিজ্ঞানচিন্তার একটা ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ আছে। পাঠকদের বিভিন্ন বিজ্ঞানবিষয়ক প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয় এই গ্রুপ আর পেজ থেকে। তা ছাড়া দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানের নানা আপডেটও থাকে বিজ্ঞানচিন্তা পেজ ও গ্রুপে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar