ad720-90

কেনাকাটায় চৌকস হন


একটু মাথা খাটালে ঈদের কেনাকাটায় সাশ্রয় করা যাবে। ছবি: স্মার্ট সময়‘কেনাকাটা’ শব্দের মধ্যে ‘কাটা’ অংশটি কিন্তু বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কিছু কিনলে ‘কাটা’ পড়বেই। পকেট কাটা পড়বে, ব্যাংক ব্যালেন্স কাটা পড়বে। মাঝেমধ্যে সেটা ‘গলাকাটা’ পর্যন্ত গড়াতে পারে! বিশেষ করে ঈদের বাজারে তো কথাই নেই। এই কাটাকুটির খেলায় কিন্তু জিতে আসার সুযোগও অনেক। মাছ বাজারের মতো ‘মুলামুলি’ না করেও দিব্যি কিছু টাকা বাঁচানো যায় মাথা খাটালে। স্মার্ট এই সময়ে ডিজিটাল কেনাকাটাই মূলত আপনাকে বলতে পারে, ‘ভাই জিতছেন!’ শুধু মনে রাখতে হবে, ডিজিটাল কেনাকাটার সময় লেনদেনের প্রতিষ্ঠানগুলো আপনাকে কী কী ছাড় বা সুবিধা দিচ্ছে। অর্থাৎ কেনাকাটায় আপনাকে হতে হবে চৌকস।

অনেকেই এখন ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। আর কিছু না হোক বিকাশ বা রকেটের মতো লেনদেনের অ্যাপ আছে বেশির ভাগ মানুষের স্মার্টফোনে। মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানগুলোও ঈদের আগে কেনাকাটায় দেয় বিশেষ ছাড়। কিন্তু ক্রেডিট কার্ড, বিকাশ, রকেট বা মোবাইল ফোন অপারেটরের দেওয়া সুবিধাগুলো কাজে লাগান না অনেকেই। এটা অনেকটা প্রতিভার মতো। চর্চা না করলে প্রতিভার কোনো মূল্য নেই। ফলে কবির কথা অনুসরণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ, ‘যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেখো তা–ই…’। বাকিটুকু বলতে হবে? হ্যাঁ, পাইলেও পাইতে পারেন বিশেষ ছাড়।

এই সুবিধাগুলো নিয়ে কথা হচ্ছিল সিটি ব্যাংকের কার্ড বিভাগের প্রধান মাসুদুল হক ভূঁইয়ার সঙ্গে। ক্রেতাদের জন্য তাঁর পরামর্শ হলো, ‘ঈদের আগে প্রায় সব ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীরা বিশেষ বিশেষ ছাড় পান। সিটি ব্যাংকও যেমন ১০ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড় দিচ্ছে। আমরা এই ছাড়ের খবর প্রতিটি ব্যবহারকারীকে খুদে বার্তার মাধ্যেম জানিয়ে দিই। এ ছাড়া পত্রিকা ও টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার করি। ডিজিটাল মাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হয় নানা সুবিধার কথা। কিন্তু অনেকেই এই খবরগুলো রাখেন না। তাঁদের জন্য আমার পরামর্শ হলো, ফোনের খুদে বার্তাগুলো পড়ে দেখুন, সেখানেই সব খবর পেয়ে যাবেন। এ ছাড়া পত্রপত্রিকায় চোখ রাখুন। বাজারে যাওয়ার আগে ফেসবুকে ব্যাংক ও লেনদেনের পেজগুলোতে ঢুঁ মারুন। এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, সব মিলিয়ে এই ছাড়গুলোর ফলে আপনার পকেটের অনেক টাকাই বেঁচে যাবে।’

ক্রেডিট কার্ডের অংশটুকু তো গেলই। বিকাশের কথা ধরা যাক। এই ঈদে সারা দেশে ১০ হাজারের বেশি দোকানে মিলবে বিশেষ সুবিধা। কেনাকাটার পর বিকাশ অ্যাপ দিয়ে টাকা পরিশোধ করার আগে কিউআর কোড স্ক্যান করতে হবে। তাতেই মিলবে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। রকেটের বেলায়ও তা–ই। রকেট দিয়ে নগদ কেনাকাটায় পাবেন ২০ শতাংশ ছাড়।

ছাড়ময় এক দিনের কথা বলছিলেন মুহিত আলম। বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মুহিত ঈদের বেশ কিছু কেনাকাটা সেরে ফেলেছেন এরই মধ্যে। ১৭ মে বিকেলে বেরিয়েছিলেন বাসা থেকে। উবারে ছিল ছাড়, তার ওপর ডিজিটাল পেমেন্টেও পেয়েছিলেন ৭৫ শতাংশ ছাড়! সেরের ওপর সোয়া সের যাকে বলে। কাপড়চোপড় কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছিলেন, তাতে পেয়েছেন ২০ শতাংশ ছাড়। বিকাশে টাকা পরিশোধ করে কিনেছিলেন বাবার জন্য জুতা। হ্যাঁ, ছাড় পেয়েছেন তাতেও। মোবাইল ফোন অপারেটরের ছাড়ও ছাড়েননি মুহিত। পরিবারের ছোট্ট সদস্যটির জন্য কেনাকাটাতেও ছিল ১২ শতাংশ ক্যাশব্যাকের সুবিধা। কেনাকাটা শেষে ইফতারের বেলায়ও ক্রেডিট কার্ডে টাকা পরিশোধ করেছিলেন মুহিত, প্রায় ১০০ টাকা ফেরত পেয়ে উঠেছিলেন উবারে। আবার সেই সেরের ওপর সোয়া সের! মুহিত রসিকতা করে বলছিলেন, ‘একটু বুদ্ধি খাটালে জীবনটা ‘ছাড়’ খার হতে পারে! ঈদের আগে কেনাকাটায় লেনদেনের প্রতিষ্ঠানগুলো যে ছাড় দেয়, তা না নেওয়া স্রেফ বোকামি।’

 

 





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar