ad720-90

উত্তর কোরিয়ার স্মার্টফোনে চলবে শুধু সরকার অনুমোদিত অ্যাপ


বরাবরই আত্মনির্ভরশীলতার কথা বলে আসছে উত্তর কোরিয়া। তবে দেখা গেছে নতুন স্মার্টফোনটি বানানো হয়েছে চীনে– খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।

ডিভাইসটির নাম বলা হয়েছে পিয়ংইয়াং ২৪২৫। আট কোরের প্রসেসরের সঙ্গে মুখ শনাক্তকারী ফিচার এবং তারবিহীন চার্জিং প্রযুক্তি রয়েছে স্মার্টফোনটিতে।

বিদেশি ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কে যুক্ত হতে পারবে না ডিভাইসটি। এমনকি ফোনের সঙ্গে আসা ছবি এবং রিংটোনও খুলতে পারবেন না গ্রাহক।

ডিভাইসটি দিয়ে শুধু সরকারচালিত ইন্ট্রানেট নেটওয়ার্ক ‘মিরাই’ ওয়াই-ফাইয়ে যুক্ত হতে পারবেন গ্রাহক। ফলে অনলাইনে সরকারি প্রচারণা দেখা যাবে এর মাধ্যমে।

দক্ষিণ কোরীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি এনকে’র পক্ষ থেকে একটি ডিভাইসের সিরিয়াল নাম্বার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে এটি বানিয়েছে এক চীনা প্রতিষ্ঠান।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, উত্তর কোরিয়ান সফটওয়্যার ইনস্টল করার আগে পুরোপুরি প্রস্তুত ডিভাইসই আমদানি করা হয়েছিল।

এক বিশেষজ্ঞ বলেন, “উত্তর কোরিয়া হয়তো এমন চুক্তিতেই পণ্য উৎপাদনের অর্ডার দিয়েছে যে তারা নিজস্ব সফটওয়্যার ইনস্টল করবে।”

“সফটওয়্যার পরিবর্তনের ফলে হার্ডওয়্যারের ধরনের ওপর নির্ভর করে কিছু ফিচার অকেজো হয়ে থাকতে পারে, উত্তর কোরিয়া হয়তো ডিভাইসটি আমদানির পর এর সফটওয়্যার পরিবর্তন করেছে।”

ইতোমধ্যেই ডিভাইসটির কিছু ছবিও ছড়িয়েছে। এতে দেখা গেছে চীনা এবং ইংরেজি শেখার অ্যাপ এতে ইনস্টল করা যাবে, পাশাপাশি সরকার অনুমোদিত জ্ঞানকোষ এবং আবহাওয়া অ্যাপ।

এ ছাড়াও ডিভাইসটিতে রয়েছে একটি লাইব্রেরি অ্যাপ। এতে অ্যাপল বুকস-এর আগের সংস্করণ এবং সরকার অনুমোদিত পাঠ উপাদান পাওয়া যাবে।

ইন্টারনেট দুর্লভ হওয়ার কারণে উত্তর কোরিয়ানরা আগে নিজে থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারতেন না। দোকানে গিয়ে টেকনিশিয়ানের মাধ্যমে সেগুলো ইনস্টল করতে হতো। পিয়ংইয়ং ২৪২৫-এর ক্ষেত্রে এটি পরিবর্তিত হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

নর্থ-ইস্ট এশিয়া কমিউনিটি আইসিটি ফোরামের চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রায় ৪০ শতাংশ উত্তর কোরিয়ান স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। স্মার্টফোনগুলো গেইম খেলা, বই পড়া, গান শোনা, রান্না শেখা এবং কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar