ad720-90

ডিজিটাল উপহার


 প্রিয় মানুষকে উপহার দিতে চান? কিংবা আপনার গ্রাহক, পরিবেশক বা কোনো অনুষ্ঠানের করপোরেট উপহার? ডিজিটাল এ যুগে দোকানে গিয়ে অনেক সময় উপহার কেনার সময় থাকে না। আবার যার জন্য গিফট কিনলেন, তার আপনার দেওয়া উপহার পছন্দ না-ও হতে পারে। এই সমস্যার সমাধান এখন আপনার হাতের মুঠোয়। এখন আপনি চাইলেই আপনার প্রিয়জনকে অ্যাপের মাধ্যমে ডিজিটাল গিফট ভাউচার পাঠিয়ে দিতে পারেন। ‘এক্সট্রা’ নামে এমনই একটি ডিজিটাল উপহারের প্ল্যাটফর্ম সম্প্রতি দেশে চালু হয়েছে।

করপোরেট পুরস্কারসহ নানা কাজে এ অ্যাপ ব্যবহার করে উপহার পাঠানোর সুবিধা রয়েছে। ইতিমধ্যে এক্সট্রার উদ্যোক্তারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে (যেমন ফ্যাশন আউটলেট, রেস্তোরাঁ, ইলেকট্রনিকস, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) তাঁদের অ্যাপে যুক্ত করেছেন। এদের কাছ থেকে গিফট ভাউচারের বিনিময়ে উপহার পছন্দ করে নিতে পারবে গিফট গ্রহণকারী। ইতিমধ্যে এক্সট্রার সঙ্গে অনেকগুলো নামকরা ব্র্যান্ড যুক্ত হয়েছে। আরও নতুন নতুন ব্র্যান্ড যুক্ত করতে কাজ করছেন উদ্যোক্তারা। ইতিমধ্যে এক্সট্রার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তিন শতাধিক শাখা।

এক্সট্রার প্রতিষ্ঠাতা মঞ্জুরুল আলম বলেন,অ্যাপের মাধ্যমে উপহার পাঠানো এখন সহজ। অ্যাপের মাধ্যমে একজন ব্যক্তি আরেকজনকে উপহার দিতে পারবেন, তেমনি এর মাধ্যমে যেকোনো প্রতিষ্ঠান তাদের গ্রাহক, পরিবেশক ও কর্মীদের পুরস্কৃত করতে বা আর উপহার দিতে পারবে।

উপহার পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক্সট্রার উদ্যোক্তা বলেন, আপনি একটি বিয়ের দাওয়াতে আপনার বন্ধুকে অথবা গ্রাহককে কোনো আউটলেট থেকে অ্যাপের মাধ্যমে দুই হাজার টাকার একটা ডিজিটাল গিফট ভাউচার দিলেন, তখন ওই ডিজিটাল ভাউচার নিয়ে আপনার বন্ধু ওই দোকানে গিয়ে নিজের পছন্দমতো উপহার কিনতে পারবেন। একটি করপোরেট প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে ৫০০ জন ক্লায়েন্ট কিংবা ডিস্ট্রিবিউটরকে গিফট দিতে চাইলেও তা সহজেই কয়েক সেকেন্ডে অ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া যাবে। এতে প্রতিষ্ঠানের উপহার কেনা বা অফারের চিন্তা করে সময় নষ্ট করতে হবে না। সময় সাশ্রয়ের লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছে ‘এক্সট্রা’।

মঞ্জুরুল আলম বলেন, বর্তমানে সবাই চায় সব কাজ সহজে ও দ্রুত করতে। এক্সট্রার স্লোগান হচ্ছে—যখন খুশি গিফট। অর্থাৎ যখন খুশি, যেখান থেকে খুশি, মুহূর্তেই পাঠিয়ে দেওয়া যাবে উপহার। যাদের গিফট দিতে চান, তাদের ফোন নম্বর এক্সট্রা অ্যাপে নিবন্ধন করার পর উপহারের মূল্য লিখে পাঠিয়ে দিতে পারবেন মুহূর্তের মধ্যে। এ প্রক্রিয়া বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর মতোই। গিফট গ্রহণকারীর ফোনে এক্সট্রা অ্যাপ থাকলেই যেকোনো সময় গিফট গ্রহণ করতে পারবেন। এতে মার্চেন্ট শপ, সার্ভিস পয়েন্ট কাগজের গিফট ভাউচার খুঁজতে হবে না। সময় সাশ্রয়ের কথা বিবেচনা করেই এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার বাড়ছে।

মঞ্জুরুল আলম মামুন বলেন, ‘এ রকম একটি উদ্ভাবনী প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে কাজ করেছে অ্যাপলেকট্রাম সলিউশনস লিমিটেড। এক্সট্রাতে এখন ২০ জনের মতো কর্মী কাজ করছেন। অ্যাপ ব্যবহারকারীদের সেরা সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। উদ্যোক্তা হিসেবে এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানের হয়ে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়েও সেবা চালু করা হয়েছে। ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নয়নে আমরা নিয়মিত কাজ করছি। অ্যাপটি উন্নত করতে কাজ চলছে। এক্সট্রা এখন শুধু ঢাকার মধ্যেই সেবা দিচ্ছে। শিগগিরই জেলা শহরগুলোতে এ সেবা পাওয়া যাবে।’

বিস্তারিত জানা যাবে এক্সট্রার ওয়েবসাইট www.xtragift.com থেকে। এ ছাড়া গুগল প্লেস্টোর (http://bit.ly/3211ZJQ) ও অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর (https://apple.co/2Nh9QiU) থেকে এক্সট্রা অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাবে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar