আলোর পথে ইলন মাস্কের ব্রেইন-কম্পিউটার
সামনের বছর যতো দ্রুত সম্ভব হাসপাতালে পরীক্ষা শুরু করতে মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে নিউরালিংক। সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন ২০২০ সাল শেষ হওয়ার আগেই প্রথম মানব রোগীর মাথায় এই প্রযুক্তি বসাতে চায় প্রতিষ্ঠানটি– খবর সিএনবিসি’র।
মানুষের চিন্তার মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে এমন প্রযুক্তি আনতে এর আগে কাজ করেছে ফেইসবুকও।
নিউরালিংক স্টার্ট-আপের লক্ষ্য মস্তিষ্কে ফুটো করে পাতলা থ্রেড বসানো যা একটি ছোট প্রসেসরের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। পরে এটি ব্লুটুথ দিয়ে স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত হবে। সময়ের সঙ্গে এই ইনস্টল প্রক্রিয়া ‘মানব চোখে লেজার সার্জারির মতোই’ সহজ হয়ে যাবে।
“এটি অনেক সময় নেবে এবং আপনি দেখবেন এটি আসছে। ভবিষ্যতে এই প্রযুক্তির বিভিন্ন প্রোগ্রামের জন্য একটি ‘অ্যাপ স্টোরও’ আসতে পারে,” বলেন মাস্ক।
২০১৭ সালে টিম আরবানের ব্লগে “ওয়েট বাট হোয়াই” নামের এক পোস্টে এই স্টার্ট-আপের ধারণা তুলে ধরেন মাস্ক। সেসময় থেকেই অনেকটা গোপনে কাজ করে আসছিলো প্রতিষ্ঠানটি।
মাস্ক বলেন, “চার বছরের মধ্যে আমরা এমন প্রযুক্তি আনবো যা মস্তিষ্কের গুরুতর আঘাতের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।”
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাস্কের বিশ্বাস এই প্রযুক্তি রোগীদেরকে কথা বলতে ও দেখতে সহায়তা করবে। মস্তিষ্কের মাধ্যমে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করে কথা বলে অপারগ ব্যক্তিরা কথা বলতে পারবেন বলে জানিয়েছে নিউরালিংকের জেষ্ঠ্য বিজ্ঞানী ফিলিপ সেবস।
এক ধরনের টেলিপ্যাথির মতো এই প্রযুক্তির মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন মাস্ক।
আগের বছর এক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয় প্রাণীর ওপর এই প্রযুক্তি পরীক্ষা করার কথা ভাবছে নিউরালিংক। প্রতিষ্ঠানের ল্যাবে ইঁদুরের থেকে কম্পিউটারে ডেটা আসছে এমনটা দেখনো হয়েছে।
মঙ্গলবারের ইভেন্টে বানরের ওপর এই প্রযুক্তির প্রয়োগ নিয়েও কথা বলেছেন মাস্ক। “একটি বানর তার মস্তিষ্ক দিয়ে কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছে।”
নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠানটিতে ১০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছেন।
Comments
So empty here ... leave a comment!