ad720-90

মহাকাশ থেকে পড়লো চীনা ল্যাব


 

ল্যাবটির বেশির
ভাগ অংশই বায়ুমণ্ডলে পুড়ে গেছে। অবশিষ্ট কিছু অংশ দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নিরাপদ
অঞ্চলে পড়েছে– খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।

মহাকাশে এক
হাজার দিনের বেশি ছিলো ল্যাবটি। ২০১৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ
সেন্টার থেকে মহাকাশে পাঠানো হয় এটি। মূলত এটি দুই বছর মহাকাশে রাখার পরিকল্পনা থাকলেও
তার চেয়ে অনেক বেশি সময় থেকেছে ল্যাবটি।

মহাকাশে থাকাকালীন
দুই জন নভোচারী এতে ৩০ দিন ছিলেন। বেশ কিছু অসাধারণ পরীক্ষা চালানো হয়েছে এই ল্যাব
থেকে।

চায়না অ্যাকাডেমি
অফ স্পেস টেকনোলজি’র প্রধান মহাকাশ ল্যাব নকশাবিদ ঝু জংপেং বলেন, তিয়াংয়ং-২ ভালো অবস্থায়
ছিলো। এটি আরও কয়েক বছর মহাকাশে রাখা যেতো। তারপরও এটি বেশি পুরানো হয়ার আগেই “দায়িত্বের”
সঙ্গে এটি কক্ষপথ থেকে বের করে আনা হয়েছে।

“স্বেচ্ছায়
তিয়াংয়ং-২ এর অবসরের কারণে সব ধরনের ঝুঁকি দূর হয়েছে,” বলেন ঝু।

“মূল পরিকল্পনার
বাইরে মহাকাশ ল্যাবের জীবনকাল বাড়ানো হলে মহাকাশে আস্থা কমতো।”

“কোনো একদিন
কোনো ত্রুটি দেখা দিতে পারতো, তখন তিয়াংয়ং-২ বায়ুমণ্ডলে পড়বে এবং কিছু অংশ পুরোপুরি
নাও পুড়তে পারে। এই অংশগুলো এভাবে নীচে পড়লে তা মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতো।”

ঝুঁকি এড়াতে
নিয়ন্ত্রিতভাবে দুই ধাপে বায়ুমণ্ডলে আনা হয়েছে ল্যাবটি। প্রথমে ২০০ কিলোমিটার দূরের
কক্ষপথে এবং পরে ৭০ কিলোমিটারের কক্ষপথে আনা হয় এটি। পরবর্তীতে এটি বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ
করে।

এর আগে তিয়াংয়ং-১
২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিধ্বস্ত হয়। ২০১৩ সালে এই ল্যাবটি কক্ষপথ
থেকে বের করার পরিকল্পনা থাকলেও বারবার যোগাযোগ হারানোয় মিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়। তবে
শেষ রক্ষা হয়নি। তবে ল্যাবটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসাগরে পড়ায় কেউ আহত হননি।

এবারে তৃতীয়
অস্থায়ী মহাকাশ ল্যাব তিয়াংয়ং-৩ পাঠানোর পরিকল্পনা করছে চীন। ২০২০ সালে “আসল” মহাকাশ
স্টেশন বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar