অতঃপর ৫০০ কোটি ডলার জরিমানায় ফেইসবুক
জরিমানার পাশাপাশি ফেইসবুককে একটি প্রাইভেসি কমিটিও গঠন করতে বলা হয়েছে। ওই কমিটির ওপর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না প্রতিষ্ঠান প্রধান মার্ক জাকারবার্গের।
প্রাথমিকভাবে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনায় অবৈধভাবে ৮.৭ কোটি গ্রাহকের তথ্য দেওয়ার জন্য দায়ী করা হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যমটিকে। পরে এতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির মতো অন্যান্য ঘটনা যোগ করে এফটিসি– খবর বিবিসি’র।
ফেইসবুকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও আনা হয়েছে যে, দুই স্তরের যাচাই ব্যবস্থার জন্য নেওয়া গ্রাহকের ফোন নাম্বার যে বিজ্ঞাপনের কাজে ব্যবহার করা হবে তাও অবৈধ।
গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষা না করায় এটিই কোনো প্রতিষ্ঠানের ওপর সবচেয়ে বড় জরিমানার অঙ্ক। এর আগে এধরনের সবচেয়ে বড় জরিমানার চেয়ে এটি ২০ গুণ বেশি।
মামলা মীমাংসায় দুই বিবাদী কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সাবেক প্রধান নির্বাহী অ্যালেক্সান্ডার নিক্স এবং ডেভেলপার অ্যালেক্সান্ডার কোগান ভবিষ্যতে যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রশাসনিক আদেশ মেনে চলতে রাজি হয়েছেন। তাদের সংগ্রহ করা সব ব্যক্তিগত ডেটাও মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মামলা মীমাংসায় এফটিসি’র সদস্যরা ভোট দিয়েছেন, সেখানে মার্কিন সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিত্ব ছিল। তবে ডেমোক্রেটরা মনে করছেন জরিমানার অঙ্ক যথেষ্ট বড় হয়নি এবং এর প্রক্রিয়া বেশি দূর এগোয়নি।
এক ফেইসবুক পোস্টে জাকারবার্গ বলেন, প্রতিষ্ঠানের পণ্যগুলো কীভাবে বানানো হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলছে তা ঠিক করতে কাঠামো বদলানো হবে।
গোপনীয়তার বিষয়গুলো এখন নতুন একজন প্রাইভেসি কর্মকর্তা দেখবেন বলেও জানানো হয়েছে।
“গ্রাহকের গোপনীয়তা রক্ষায় আমাদের দায়িত্ব রয়েছে,” বলেন জাকারবার্গ।
ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে কারণে প্রযুক্তিগত ব্যবস্থাগুলো যাচাই করে ঝুঁকি আছে কিনা তা বের করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ফেইসবুক। প্রতিষ্ঠানে এই পরিবর্তনগুলো আনা হলে তা মার্কিন আইনে আপাতত যতোটুকু প্রয়োজন তার থেকেও নীতিমালায় এগিয়ে যাবে ফেইসবুক।
“আমরা ধারণা করছি এই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে প্রতিষ্ঠান জুড়ে আরও শত শত প্রকৌশলী এবং এক হাজারের বেশি লোক লাগবে। আর আমাদের ধারণা এই কাঠামো মেনে নতুন পণ্য বানাতে সময়ও বেশি লাগবে।”
Comments
So empty here ... leave a comment!