ad720-90

বিশ্বমানের সাইবার জিম প্রতিষ্ঠা হবে এমআইএসটিতে


লাস্টনিউজবিডি, ৪ আগস্ট: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন প্রযুক্তির ব্যবহার যত বাড়বে সাইবার ঝুঁকিও তত বাড়বে। এই ঝুঁকি মোকাবেলায় এখন থেকে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। তা নাহলে আমরা পিছিয়ে যাবো।

তিনি বলেন, সাইবার ঝুঁকির প্রস্তুতির অংশ হিসেবে মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (এমআইএসটি) তে বিশ্বমানের সাইবার জিম স্থাপন করা হবে। শারীরিকভাবে সুস্থ সবল থাকতে আমরা যেমন জিমে যাই তেমনি সাইবার স্পেসে নিজেদের নিরাপদ রাখতে এই জিম তৈরি করা হবে যেখানে সবাই এক সাথে কাজ করার সুযোগ পাবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও এমআইএসটি এর যৌথ উদ্যোগে এমআইএসটি এর জেনারেল মোস্তাফিজ মাল্টিপারপাস হলে “বিশ্বব্যাপী সাইবার হুমকি এবং বাংলাদেশের প্রস্তুতি” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, সেনা, নৌ, এবং বিমান বাহিনীসহ বিভিন্ন আন্তঃবাহিনী সংস্থাসমূহের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদস্থ সামরিক/বেসামরিক কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

আরও পড়ুন: মায়ের নৃশংসতায় বলি দেড় বছরের শিশু

মেজর জেনারেল ওয়াহিদ উদ জামান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃব্য রাখেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ মাহফুজুর রহমান। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ইনস্টিটিউট অব পলিসি, এডভোকেসি এবং গভর্নেন্স এর চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মুনির খসরু, জাতীয় টেলিযোগাযোগ মনিটরিং কেন্দ্র এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়াউল আহসান এবং জাতীয় ডাটা সেন্টার এর পরিচালক প্রকৌশলী তারিক বরকত উল্লাহ। এতে সঞ্চালনা করেন এমআইএসটি এর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের প্রধান এয়ার কমোডর আফজাল হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন ব্যক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও রাষ্ট্র; এই চারটি পর্যায়েই আমরা সাইবার ঝুঁকিতে রয়েছি। সকলে সচেতন হলেই সাইবার স্পেস নিরাপদ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন তরুণ প্রজন্মকে এখন থেকে সাইবার ঝুকি মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। তিনি সচেতন ও সতর্ক থেকে সক্ষমতা তৈরি করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।

পলক বলেন সাইবার স্পেস নিরাপদ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ২২টি ক্রিটিক্যাল সিস্টেম ইনফরমেশন ইনফ্রাসট্রাকচার সনাক্ত করেছে এবং ন্যাশনাল ডিজিটাল আর্কিটেকচার তৈরি করেছে। এছাড়াও সক্ষমতা তৈরি করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট এর আওতায় ডিজিটাল সিকিউরিটি কাউন্সিল, ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি, সাইবার ইনসিডেন্স রেসপন্স টিম, ডিজিটাল ফরেনসি ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

লাস্টনিউজবিডি/নিরব

সর্বশেষ সংবাদ



সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar