স্মৃতি হারাতে পারেন মঙ্গলফেরত নভোচারীরা
মঙ্গল যাত্রায় নভোচারীর শরীরে কেমন প্রভাব পড়তে পারে তা নিয়ে চলছে গবেষণা। আর সেখানেই পাওয়া গেছে স্মৃতি হারানোর মতো ঝুঁকির তথ্য।
ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা বলেন, লাল গ্রহটিতে যাওয়া নভোচারীরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হতে এবং স্মৃতি হারাতে পারেন– খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।
ইনিউরো-তে প্রকাশিত নথিতে গবেষকরা জানিয়েছেন, “যেহেতু নাসা মঙ্গল গ্রহে অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে, ডিপ স্পেস রেডিয়েশনের প্রভাবে শারিরীক ঝুঁকির বিষয়টিও তাই বিবেচনায় এসেছে।”
একদল ইঁদুরের ওপর ডিপ স্পেসের শক্তিশালী অথচ স্বল্প মাত্রায় তেজষ্ক্রিয়ার পরীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা।
ছয় মাস ধরে এই তেজষ্ক্রিয়ায় ছিলো ইঁদুরগুলো। পরবর্তীতে তাদের মস্তিষ্ক এবং আচরণ পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে ইঁদুরের মস্তিষ্কের আন্তঃকোষ তথ্য আদানপ্রদানে সমস্যা হচ্ছে। ফলে সেগুলোর শেখা এবং স্মৃতিতে প্রভাব পড়ছে।
ছয় মাসের পরীক্ষায় শেষের দিকে ইঁদুরগুলো অনেক বেশি দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
ইঁদুরের ওপর এই গবেষণার ফলাফলে ভবিষ্যতে চাঁদে মানুষ পাঠানো নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
গবেষকরা বলেন, “ডিপ স্পেস যাত্রায় সব স্তরের স্নায়বিক ক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা এই গবেষণায় প্রথমবারের মতো দেখা গেছে।”
মঙ্গল গ্রহে নভোচারী পাঠানোর আগে মানব শরীরে ডিপ স্পেস-এর প্রভাব পড়তে কতোটা সময় লাগে তা নিয়ে গবেষণা করার পরিকল্পনা করছে নাসা।
২০২০ সালে লুনার গেইটওয়ে অভিযান পরিচালনা করবে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। এই অভিযানে নভোচারীরা চাঁদের কক্ষপথে সময় কাটাবে বলে জানানো হয়েছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!