ad720-90

আগ্নেয়গিরিতে মঙ্গল গ্রহের স্পেসস্যুট পরীক্ষা!


নাসা’র জেড-২ প্রোটোটাইপ স্পেসস্যুটের ওপর ভিত্তি করে এমএস১ নামের এই স্যুট বানিয়েছেন রোড আইল্যান্ড স্কুল অফ ডিজাইন-এর মাইকেল লাই। ২০১৪ সালে উন্মোচন করা হয় এই স্পেসস্যুটটি। মঙ্গল গ্রহের ভূমিতে নভোচারীদের হাঁটার জন্য নকশা করা হয়েছে এটি– খবর ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড মিররের।

জেড-২ স্পেসস্যুটের ওজন ছিলো ৬৫ কেজি। নতুন এমএস১ স্যুটের ওজন মাত্র ২৩ কেজি। মঙ্গলের মধ্যাকর্ষণ বলে জেড-২ স্পেসস্যুটের ওজন হতো ২৩ কেজির কাছাকাছি। ফলে মঙ্গল গ্রহে নতুন এমএস১ স্যুটের ওজন হবে আরও কম।

ছবি- আইসল্যান্ড স্পেস এজেন্সি

ছবি- আইসল্যান্ড স্পেস এজেন্সি

নতুন স্যুটে রাখা হয়েছে ওপরে শক্ত খোলস এবং নীচে নরম খোলস, একটি বাবল হেলমেট এবং সহজে স্যুটে ঢোকার জন্য পেছনে রাখা হয়েছে হ্যাচ।

গ্রিমসভখট অগ্নেয়গিরির কঠিন আবহাওয়া এবং অস্থিতিশীল ভূখণ্ড স্যুটটি পরীক্ষার জন্য বেশ উপযোগী। মঙ্গল গ্রহের মেরু অঞ্চলের অবস্থা অনেকটাই এরকম।

ছবি- আইসল্যান্ড স্পেস এজেন্সি

ছবি- আইসল্যান্ড স্পেস এজেন্সি

গ্রিমসভখট পাহাড়ের তাবুতে ছয় দিন ছিলেন অন্বেষণকারী এবং গবেষকদের একটি দল। মঙ্গল গ্রহের মতো পরিবেশে স্যুট পরে নমুনা সংগ্রহ এবং চলাফেরা করেছেন গবেষকরা। স্যুটটি পরে পাহাড়ে চড়া যায় কিনা তাও পরীক্ষা করা হয়েছে।

ছবি- আইসল্যান্ড স্পেস এজেন্সি

ছবি- আইসল্যান্ড স্পেস এজেন্সি

আবহাওয়া এবং বেশ কিছু প্রযুক্তিগত ব্যর্থতা থাকলেও এই অভিযানকে সফল দাবি করেছে গবেষকরা।

এই অভিযানে গবেষকদের সংগ্রহ করা ডেটা দিয়ে ভবিষ্যতের বসতি এবং স্পেসস্যুট বানানো হবে। এগুলো দিয়ে ভূপৃষ্ঠে নভোচারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar