প্রযুক্তি জায়ান্টদের অভ্যন্তরীণ মেইল চায় তদন্ত কমিটি
শীর্ষস্থানীয় এই প্রতিষ্ঠানগুলো
বাজারে একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখার চেষ্টা করছে কি না সে বিষয়ে আগে থেকেই তদন্ত করছে
মার্কিন প্রশাসন। নতুন করে ইমেইল ও নথি চেয়ে পাঠানোর ঘটনা সেই তদন্তের কলেবর বড়ানোর
ইঙ্গিত দেয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে।
ওই চিঠিতে অ্যাপল সিইও
টিম কুক, অ্যামাজন সিইও জেফ বেজোস, ফেইসবুক সিইও মার্ক জাকারবার্গ ও অ্যালফাবেট সিইও
ল্যারি পেইজসহ অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের গত ১০ বছরের মধ্যে প্রতিষ্ঠান ক্রয়বিষয়ক
যাবতীয় ইমেইল জমা দিতে বলা হয়েছে। আর এর জন্য শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১৪ অক্টোবর।
আইফোন নির্মাতা অ্যাপলকে
এই তদন্তের অন্যতম লক্ষ্য হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে এবং তথ্য চাওয়ার পরের দিন সকালেই
অ্যাপল শেয়ারের দাম পরে গেছে ১.৮ শতাংশ।
অ্যাপলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
রয়েছে, অ্যাপ স্টোরের পলিসি এবং অ্যালগরিদম এমনভাবে ঠিক করা যাতে করে প্রতিষ্ঠানটির
নিজস্ব পণ্য অন্য নির্মাতার তুলনায় বেশি সুবিধা পায়।
এদিকে সোমবার টেক্সাসের
অ্যাটর্নি জেনারেলের নেতৃত্বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সকল অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেলদের
নিয়ে গঠিত এক কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। ওই কমিটির লক্ষ্য গুগল বিজ্ঞাপন বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠানিক
ক্ষমতার অন্যায় প্রভাব রাখছে কি না তা যাচাই করে দেখা।
মার্কিন বিচার বিভাগীয়
কংগ্রেস কমিটির চেয়ারম্যান জেরল্ড নাডলার বলেন, “প্রতিনিয়ত এমন প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে
যে হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনলাইন বাণিজ্যের বিশাল অংশ নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করেছে।”।
ডেমক্রেট দলীয় জনপ্রতিনিধি নাডলার, রিপাবলিকান ডৌগ কলিন্স এবং ডেভিড সিসিলাইন ইমেইল
চেয়ে পাঠানো টিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে ডেভিড সিসিলাইন অ্যান্টিট্রাস্টবিষয়ক
উপকমিটিরও প্রধান।
ডৌগ কলিন্স এক বিবৃতিতে
বলেন, “বাজারে একচেটিয়া প্রভাব বিস্তারের ঘটনা ঘটছে কি না, আমাদের অ্যান্ট্রিট্রাস্ট
বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিশেষ কোনো বিষয়ে তদন্ত করা দরকার কি না এবং বাজারে প্রতিযোগিতা
নিশ্চিত করতে প্রচলিত আইনের উন্নয়ন দরকার কি না তা বুঝতে এই ইমেইলগুলো গুরুত্বপূর্ণ।”
চিঠির মাধ্যমে যেসব ইমেইল
চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অ্যামাজনের এববুকস, পিলপ্যাক, ইরো, রিং, জাপ্পোস এবং হোল
ফুডস কেনার তথ্য এবং গুগলের অ্যাডমব, ইউটিউব, অ্যান্ড্রয়েড ও ডাবলক্লিক কেনাসংক্রান্ত
তথ্য। ফেইবুকের বেলায় চাওয়া হয়েছে ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ওনাভো কেনার তথ্যাবলী
এবং ইনস্টাগ্রাম, ফেইসবুক মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপ একীভূত করা এবং ফেইসবুক প্ল্যাটফর্ম
থেকে বিভিন্ন অ্যাপ বাদ দেওয়া সংক্রান্ত তথ্য।
কমিটি আরও বিভিন্ন ধরনের
করিগরি তথ্যের ব্যাখ্যাও চেয়েছে, যেমন কেন গুগল ডিভাইসে লগইন করলে সয়ংক্রিয়ভাবে ওই
ডিভাইসের ক্রোমে লগইন হয়ে যায় এমন সব বিষয়।
এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে
অ্যাপল তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। অ্যামাজন ও ফেইসবুক কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে
আর গুগল তাদের একটি ব্লগ পোস্টকে সূত্র হিসেবে উপস্থাপন করেছে যার শিরোনাম ‘ভোক্তাদের
জন্য পছন্দের সুযোগ তৈরি করা’।
কমিটি আরও যেসব তথ্য চেয়েছে
তার মধ্যে রয়েছে বাজারে প্রতিষ্ঠানের অংশ বা মার্কেট শেয়ার, প্রতিযোগী, বিভিন্ন পণ্যের
ক্ষেত্রে তাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা এবং অন্যান্য তদন্তের রিপোর্ট।
Comments
So empty here ... leave a comment!