ad720-90

হ্যাকিংয়ের অপেক্ষায় মার্কিন প্রতিরক্ষা স্যাটেলাইট!


হ্যাকারদের যে অংশ কোনো সিস্টেমের দুর্বলতা বের করে দেয় কিন্তু কোনো ক্ষতি করে না, সাধারণভাবে তাদের এথিকাল হ্যাকার বা নীতিবান হ্যাকার বলা হয়।

বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০ সালের ডেফ কন হ্যাকার সম্মেলনে পরিক্ষীত বিশেষজ্ঞদের একটি দল এই স্যাটেলাইটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করবে। আর এটি করা হবে ২০১৯ এর সম্মেলনের ধারাবাহিকতায়। ওই সম্মেলনে একটি এফ-১৫ যুদ্ধ বিমানের কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে মার্কিন বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, এমনটি করানোর কারণ মূলত তাদের সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাগুলোকে আরও শক্তিশালী করা।

এক বিবৃতিতে মার্কিন বিমান বাহিনীর অধিগ্রহণ, প্রযুক্তি এবং সরবরাহ বিভাগের উপ মন্ত্রী উইল রপার বলেন, “বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের ভীতি কাটিয়ে উঠতে হবে।”

রপার আরও বলেন, আতঙ্কের বিষয়গুলোকে আমরা ইতোমেধ্যই জয় করে ফেলেছি। আগে আমাদের ধারণা ছিল প্রযুক্তির বিয়গুলোকে নিরাপদে রাখতে হলে তা গোপন করে রাখতে হবে।

সেনাবাহিনীর সংবাদমাধ্যম সি৪আইএসআর-কে দেওয়া আরেকটি সাক্ষাৎকারে রপার বলেন, “গোপন রাখার ধারণাটি মূলত প্রচলিত ছিল স্নায়ুযুদ্ধের সময়। কিন্ত এই ধারণাটি এখন সেকেলে। কারণ, বর্তমানে প্রযু্ক্তি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে এবং এর বেশির ভাগই পরিচালিত হচ্ছে সফটওয়্যারের মাধ্যমে।”

স্যাটেলাইট হ্যাকিংয়ের এই কাজটি একটি পরীক্ষামূলক পর্ব দিয়ে শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে।

মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ হ্যাকাররা এই প্রকল্পে অংশ নেবেন। সেখান থেকে যোগ্য নৈতিক হ্যাকাররা পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের যোগ্যতা দেখাবেন। আর সেখান থেকে বাছাই করা সবচেয়ে ভালো হ্যাকারদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে লাস ভেগাসে অনুষ্ঠিত ডেফ কন কনফারেন্সে। সেখানে তারা সরাসরি স্যাটেলাইট নিয়নন্ত্রণের যোগ্যতা প্রমাণ করবেন।

রপার বলেন, হ্যাকাররা স্যাটালাইটকে নিয়ন্ত্রণে এনে তা দিয়ে চাঁদের একটি ছবি তুলবেন। সফল হ্যাকার বা দলকে ‘বাগ বাউন্টি’ পুরস্কার দেওয়া হবে।

মার্কিন বিমান বাহিনীর ব্যবস্থা হ্যাক করানোর একটি প্রকল্পও রয়েছে এই সম্মেলনে। নীতিবান হ্যাকাররা এর মাধ্যমে সিস্টেমে লুকিয়ে থাকা ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করবেন।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে হ্যাকারদের দিয়ে এমন একটি ইভেন্ট পরিচালনা করে ১২০টির মতো ত্রুটি শনাক্ত করতে পেরেছে মার্কিন বিমান বাহিনী। পুরস্কার হিসেবে এক লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দেওয়া হয়েছে ওই হ্যাকারদের।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar