বাধা থাকলেও দ্রুত বাড়ছে সৌর বিদ্যুত খাত
পুরানো সাধারণ সৌর প্যানেল দিয়েই পরিধি বাড়ছে সৌর বিদ্যুতের আর এই বৃদ্ধির হার ধারণার চেয়ে যথেষ্টই বেশি। ২০১০ সালে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন পিস ধারণা প্রকাশ করে, ২০২০ সাল নাগাদ গোটা বিশ্বে তিন লাখ ৩৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত যোগ হবে সৌর উৎস থেকে, যেটা ২০১০ সালের তুলনায় সাত গুণেরও বেশি। ২০১৮ সালের শেষে দেখা যায় ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী চার লাখ ৮৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত এসেছে সোলার প্যানেল থেকে– খবর সিএনবিসি’র।
বাড়ির ছাদে এবং মরুভূমিত অঞ্চলে সৌর প্যানেলের ব্যবহার অনেকটাই বেড়েছে। ২০১৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ নতুন শক্তি যোগ হয়েছে জাতীয় গ্রিডে তার ৩০ শতাংশই এসেছে সৌর শক্তি থেকে।
২০১৮ সালে দেখা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মোট ব্যবহৃত শক্তির ২.৩ শতাংশ এসেছে সৌরবিদ্যুত থেকে। শুনতে হয়তো অল্পই মনে হয়, তবে অতীতের হিসাব উল্টে দেখলে এই উন্নতি বলা যায় চোখ ধাধানো। ১০ বছর আগে, ২০০৮ সালেও ওই হার ছিল মাত্র ০.১ শতাংশ।
সৌর বিদ্যুতের এই বিস্তারে বড় প্রভাব রেখেছ ফটোভোল্টেক্স-এর দাম কমে আসা। সোলার প্যানেলের মূল উপাদান এই ফটোভোল্টেক্স।
তবে, পরিধি বাড়লেও সৌর শক্তির ক্ষেত্রে কিছু বাধা রয়েই গেছে। এর উন্নয়নের গতি এখনও স্থির নয়। সূর্যের আলোও সব সময় পাওয়া যায় না। আর সৌর শক্তি থেকে পাওয়া বিদ্যুত মজুদ করতে যে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহার করা হয় সেগুলোর দামও অনেক বেশি।
সাম্প্রতিক সময়ে এই খাতের উন্নতি যেভাবে হচ্ছে তা থেকে ধারণা করা হচ্ছে কার্বনমুক্ত ভবিষ্যত গড়তে বেশ সহায়ক হবে সৌর প্যানেল। আর প্রত্যাশার আগেই পৌঁছানো যেতে পারে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে।
তবে, সৌর বিদ্যুত খাতে প্রত্যাশিত সাফল্য আনতে হলে বাধাগুলো আগে পেরোতে হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
Comments
So empty here ... leave a comment!