ad720-90

এতো সম্পদ থাকা ঠিক নয়: জাকারবার্গ


বার্নি স্যান্ডার্স বরাবরই মার্কিন কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের অর্থলোভের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া রাজনীতিবিদ। তার বক্তব্য ধরেই ফেইসবুকের এক টাউনহল সভায় এক কর্মী প্রতিষ্ঠানপ্রধানকে জিজ্ঞেস করেন ওই বক্তব্য বিষয়ে জাকারবার্গের অবস্থান কী। প্রায় সাত হাজার কোটি ডলারের মালিক জাকারবার্গ জবাবে বলেন- বার্নি স্যান্ডার্সের ওই কথার পেছনের কারণ তিনি বোঝেন।

“আমি ঠিক বলতে পারবো না সীমারেখাটি ঠিক কোথায় টানা উচিৎ, কিন্তু হ্যাঁ, এতো সম্পদ থাকা ঠিক নয়।”

এবার টাউনহল সভাটি রেওয়াজ ভেঙ্গে সরাসরি প্রচারের উদ্যোগ নেন ফেইসবুক প্রধান। কারণ, আগের সভারই অডিও ফাইল ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। সে বিষয়ে অবশ্য ফেইসবুকের ব্যাখা হলো, সম্ভবত শিক্ষানবীশ কোনো কর্মীর কাজ ছিল সেটি। সেই অডিও ফাঁসের বাস্তবতায় এবার নিজেই সরাসরি অডিও সম্প্রচার করলো সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি।

টেক সাইট ভার্জে প্রকাশিত ফাঁস হওয়া অডিওতে শোনা যায় জাকারবার্গ বলছেন, “আমাদের এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো একজন আছেন, যিনি মনে করেন বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে দেওয়ার মধ্যেই সমাধান রয়েছে।”

“উনি যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, আমি বাজী ধরে বলবো আমাদের সামনে আইনী চ্যালেঞ্জ আসছে। আমি এ-ও বাজী ধরতে রাজী আছি যে, ওই চ্যালেঞ্জে আমরাই জয়ী হবো। এরপরও গোটা বিষয়টা কি আমাদের জন্য ক্ষতিকর হবে। আমি বলছি- হ্যাঁ হবে।”

এবার ওই মন্তব্য সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে জাকারবার্গ বলেন, “আমরা বরং শত্রুতা আর না বাড়াই।” তিনি আরো যোগ করেন, “কারো সঙ্গে আমাদের সব বিষয়ে দ্বিমত থাকতেই পারে। সে ক্ষেত্রে আমি বরং তার কণ্ঠরোধের চেয়ে নির্বাচিত হওয়াকেই সমর্থন দেবো। যদিও আমি মনে করি বিষয়টা আসলে এমন নয়।”

আগের বছরই এলিজারেথ ওয়ারেন ফেইসবুক, অ্যামাজন এবং গুগলের মতো জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে দেয়ার মতো পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন।

হারভার্ড ইউনিভার্সিটির আইন বিষয়ে সাবেক এই অধ্যাপকের মত, বিশাল ক্ষমতাধর প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙ্গে দেওয়ার মাধ্যমেই কেবল মার্কিন রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজে তাদের সীমাহীন প্রভাব কমানো যেতে পারে।





সর্বপ্রথম প্রকাশিত

Sharing is caring!

Comments

So empty here ... leave a comment!

Leave a Reply

Sidebar